বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গোদাগাড়ী পৌরসভার বর্তমান মেয়রসহ পৌর আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের দল থেকে আজীবন বহিষ্কারের জন্য রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে গোদাগাড়ী পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ও বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ও গোপনে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে এই ছয় নেতাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- গোদাগাড়ী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া পৌর কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম বাবু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম ওরফে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ শাহীন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম হোদা ও সদস্য মজিবুর রহমান। উল্লেখ্য, মনিরুল ইসলাম বাবু বর্তমানে গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র। সোমবার পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সিয়াম স্বাক্ষরিত ও গণমাধ্যমে পাঠানো সাংগঠনিক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- বহিষ্কৃতরা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত মেয়র প্রার্থী অয়েজুদ্দিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এবং অন্যরা বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থক দিয়ে ভোটে প্রচার চালিয়েছেন। এর ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এতে দলের ভেতরে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে।
এতে বলা হয়, মনিরুল ইসলাম বাবুসহ সংশ্লিষ্টদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য মৌখিকভাবে অনুরোধ করা হলেও তারা সেই অনুরোধ রক্ষা করেনি। ফলে গত ২৭ জানুয়ারি গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তার সহযোগী নেতাদের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে ছয় আওয়ামী লীগ নেতাকেও বহিষ্কারের বিষয়ে পৃথকভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এসব নেতাকে দলের সদস্য পদ থেকে আজীবন বহিষ্কারের জন্য জেলা ও কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোদাগাড়ী পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে মনিরুল ইসলাম বাবু দলের নির্দেশনা না মেনে বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী হয়ে নারিকেল গাছ প্রতীকে ভোট করছেন।
এ ব্যপারে পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এএম শাহীনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেন নি। তবে বহিষ্কারের খবর পাওয়ার পর ছয় নেতার কোনো প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।