Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে বিশ্বব্যাপী গভীর উদ্বেগ ও নিন্দার ঝড়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:৪২ পিএম

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ফের দেশটির সর্বময় ক্ষমতা দখলের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। দেশটির নেত্রী অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তসহ অন্য রাজনৈতিক নেতাদের আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বের বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। মিয়ানমারের ঘটনায় সেনাবাহিনীর নিন্দা করেছে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে।

এমনকি জাতিসংঘ থেকে শুরু করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দায় সরব হয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আজ সোমবার সকালে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য এটি মারাত্মক আঘাত।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘বার্মিজ সেনাবাহিনী কর্তৃক সামরিক সরকার ও নাগরিক সমাজের একাধিক নেতাকে আটকের সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেনাবাহিনীকে অবিলম্বে তাদের এই অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।’

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন বলেছেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এবং অবৈধভাবে আটকৃকত সব বেসামরিক নেতা ও অন্যদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

অং সান সুচিকে অবৈধভাবে আটক রাখার নিন্দাও জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়, সব ধরনের অভ্যুত্থান এবং সেনাবাহিনীর স্বৈরশাসনের বিরোধিতা করে তুরস্ক।

ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, তুরস্কের প্রত্যাশা- সব রাজনৈতিক নেতা এবং বেসামরিক বন্দিদের শিগগিরই ছেড়ে দেবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সকল বাধা দূর করার পাশাপাশি মিয়ানমার সেনাবাহিনী সে দেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা সংসদে অধিবেশন আহ্বান করবে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমরা আশা করবো যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা যে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে জীবন ধারণ করছে, পরিস্থিতি তার চেয়েও আরো খারাপের দিকে যাবে না।
তবে থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রবিত ওয়াংসুউওন বলেছেন, ‘এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’

এদিকে, থাইল্যান্ডের স্থানীয় এক সাংবাদিকের বরাত দিয়ে চ্যানেল নিউজ এশিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মে ওং টুইটারে জানান, আটকের ভয়ে কিছু রাজনৈতিক নেতা সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারেন, এ কারণে মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে থাইল্যান্ড। সূত্র : রয়টার্স, আল জাজিরা, ডেইলি সাবাহ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ