Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সু চিসহ সব বন্দির মুক্তি দাবি যুক্তরাষ্ট্রের, জাতিসংঘ মহাসচিবের নিন্দা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ পিএম

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চিসহ গ্রেফতার সব নেতার মুক্তির দাবিও জানিয়েছে দেশটি। এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও অং সান সু চি, রাষ্ট্রপতি ইউ উইন মিন্ট এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সূত্র : আল জাজিরা
আজ সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টাফেন দুজারিক এক বিবৃতিতে এসব জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিব সমস্ত আইনসভা, নির্বাহী এবং বিচারিক ক্ষমতা সামরিক বাহিনীতে স্থানান্তরের ঘোষণার বিষয়ে তার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই সব ঘটনা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারে মারাত্মক আঘাত।
জাতিসংঘ মহাসচিব সামরিক নেতৃত্বকে মিয়ানমারের জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে যে কোনও মতপার্থক্য সমাধান করা উচিত। সকল নেতাদের মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের বৃহত্তর স্বার্থে, অর্থবহ সংলাপে লিপ্ত হওয়া, সহিংসতা থেকে বিরত থাকা এবং মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতাকে পুরোপুরি সম্মান করতে হবে।
এদিকে গত ৮ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনের ফলকে সম্মান জানাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা, অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য প্রবীণ ব্যক্তিদের গ্রেফতারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান এ বিষয়ে বিফ্র করেছেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপকে দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তরণকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।  হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ সম্পর্কে বিফ্র করেছেন।
এদিকে অস্ট্রেলিয়াও মিয়ানমারে সেনা অভ্যত্থানের নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র  মন্ত্রী ম্যারিসে পেইনও বলেছেন, এই গ্রেফতারের নিন্দা জানাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তারা চান মিয়ানমারে আইনের শাসন মর্যাদা পাবে, আইনসম্মত পন্থায় বিতর্কের অবসান ঘটবে  এবং সু চিসহ আটক নেতাদের মুক্তি দেওয়া হবে।
মিয়ানমার দীর্ঘদিনের ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল।  ২০০৮ সালে দেশটি গণতন্ত্রের পথে ধাবিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর অধীনে ছিল। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণে মূল ভূমিকা রাখেন দেশটির স্বাধীনতার অবিসংবাদী নেতা অং সান। পরবর্তীতে তার মেয়ে অং সান সু চি ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি দল গঠন করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মূল ভূমিকা রাখেন। সূত্র : আল জাজিরা

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিন্দা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ