Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসামি ফেসবুকে সরব খুঁজে পায় না পুলিশ!

কুষ্টিয়ায় মীম হত্যা

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রির্পোটার : | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আলোচিত স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনে গৃহবধূ তাসমীম আলম মীম হত্যা মামলার চারমাসেও আসামিরা পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মীম হত্যার তদন্ত রিপোর্টে হত্যার আলামত মিললেও গ্রেফতার হয়নি আসামিরা।

এ মামলার প্রধান আসামি গৃহবধূ মীমের স্বামী বাপ্পি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরব রয়েছে বলে গেছে। কিন্তু তারপরও গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত মীমের পরিবার। পরিবারের ভাষ্য, এ মামলার দুই আসামি স্বামী ও শাশুড়ি তাদের ধরতে পুলিশের আন্তরিকতা প্রয়োজন।
নিহত মীমের মা তাজমা খাতুন বলেন, দিন গুনতে গুনতে মেয়ে হত্যার চার মাসেও আসামিরা পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। প্রথম থেকেই বলে আসছি আমার মেয়েকে ওরা হত্যা করেছে। তদন্ত রিপোর্টে হত্যার আলামত মিলেছে। অথচ পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আসামিরা আত্মগোপনে। এ মামলার চারমাস পেরিয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ তাদের ইচ্ছায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নি। আমার মনে হচ্ছে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করছে না।

এ মামলার প্রথম দিকেই প্রশাসন মামলা নিতে গড়িমসি করেছিল। এ হত্যা মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশ আমরা। আদোও মামলার তদন্ত হবে কি না এতে সন্দেহ রয়েছে। তবে এই জীবনে আমি কিছুই চাই না। আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। নিহত মীমের পিতা মহিবুল আলম বলেন, সন্তান হত্যার বিচার হবে কি না তাও জানিনা। বলতেই পারি অবহেলায় চলছে এ মামলার কাজ। মেয়েটা আমাদের খুবই আদরের ছিল। সন্তান হারানোর বেদনা আসলে কেউ বুঝলো না। চোখের জলই এখন আমার পরিবার সম্বল।
দৌলতপুর থানার (ওসি) জহুরুল আলম বলেন, আসামিরা আত্মগোপনে রয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ সঠিক নয়। এ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ মামলার আসামিদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিয়ের পর থেকেই স্বামী বাপ্পি ও শাশুড়ি কোহিনুর মোটরসাইকেল যৌতুক দিতে হবে বলে দাবি করতে থাকেন। এতে গৃহবধূ মীমকে উঠতে-বসতে নানান ধরনের কথা শুনান। এই নিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনে গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে মারা যান গৃহবধূ মীম। মীমের মৃত্যুর পর তার লাশ নিয়ে বিচারের দাবিতে তখন কুষ্টিয়াসহ সারাদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ হয়েছিলো। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই অরুনের সঙ্গে মুঠোই ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ