Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কায় জাতিসংঘের উদ্বেগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

মিয়ানমারের নির্বাচনের পর সামরিক হুমকি ও অভ্যুত্থানের আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো। শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিব দেশটির পরিস্থিতিকে বড় উদ্বেগজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন। অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরও ১২টি দেশ পৃথক বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার রীতিনীতি মেনে চলার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে। সোমবার পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর আগে বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যকার আলোচনা ভেস্তে গেছে। ক্ষমতাসীন দলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সামরিকপন্থী বিক্ষোভকারীরা দুটি শহরে জড়ো হয়েছেন। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের মীমাংসা না হলে তারা পদক্ষেপ নেবে। মঙ্গলবার সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র অভ্যুত্থানের বিষয়টি নাকচ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সংবিধান অনুসারে, সেনাবাহিনীর জন্য দেশটির পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত। এমন পরিস্থিতিতে পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু আগেই নির্বাচন নিয়ে তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি প্রস্তাবনার দাবি জানিয়েছে সেনাবাহিনী। বুধবার সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাং সামরিক কর্মকর্তাদের বলেছেন, যদি মেনে চলা না হয় তাহলে সংবিধান বাতিল হওয়া উচিত। এসময় তিনি অতীতে মিয়ানমারের সংবিধান বাতিলের ঘটনা মনে করিয়ে দেন। মিয়ানমারে গত বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্কের প্রেক্ষাপটে শীর্ষ জেনারেল মিং অং হ্লাং সংবিধান বিলোপের যে হুমকি দিয়েছেন; তা সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যকার তীব্র দ্ব›দ্বকে প্রকাশ্যে এনেছে। পরে একজন সেনা মুখপাত্র পরোক্ষভাবে অভ্যুত্থানের হুমকি দেওয়ায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ উদ্বেগ প্রকাশ করে। তবে শনিবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা সংবিধানের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং আইন মেনে চলবে। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের নির্বাচনে এনএলডি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। সেনাবাহিনী সমর্থিত প্রভাবশালী বিরোধীদল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। বৃহস্পতিবার সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হ্লাং বলেন, ‘২০০৮ সালের সংবিধান হচ্ছে সব আইনের মা।’ একে সবার সম্মান দেখানো উচিত। তবে প্রয়োজন হলে এই সংবিধান বাতিল করা হতে পারে। তারপর থেকেই অভ্যুত্থানের গুঞ্জন শুরু হয়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, ‘নির্বাচনে প্রতারণার’ অভিযোগ নিয়ে যে রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তা সমাধানের ব্যবস্থা না করলে ‘ব্যবস্থা গ্রহণের’ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ওই ব্যবস্থা কী অভ্যুত্থান হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে এ সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে শনিবারের অফিশিয়াল বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্প্রতি তাদের প্রধান জেনারেল সংবিধান বিলোপের যে কথা বলেছেন, সংবাদমাধ্যমসহ কিছু সংস্থা তার অপব্যাখ্যা করেছে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ