Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সামিয়াসহ ঢাবির তিন শিক্ষকের গবেষণা চৌর্যবৃত্তিতে তোলপাড়

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:১২ পিএম

একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমানসহ তিন শিক্ষকের পদাবনতির ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনেকেই। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাবির শিক্ষকদের এমন গর্হিত জালিয়াতিতে হতাশ ও বিস্মিত হয়েছেন দেশের সচেতন মহল। দাবি জানিয়েছেন আরও কঠিন শাস্তির।

গবেষণা জালিয়াতির দায়ে সামিয়া রহমান ছাড়াও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের পদাবনতি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি পিএইচডি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুককেও একই শাস্তি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের নিয়মিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।

ফেসবুকে ক্ষোভ জানিয়ে নাজমুল হোসাইন লিখেছেন, ‘‘এইটা কোন শাস্তি হইলোনা, এমন নমনীয়তার কারনেই অপরাধ বেড়ে যায়।পরীক্ষায় নকল করলে যদি এক্সপেল করা হয় তবে গবেষনায় চুরির অপরাধে কেন চাকরিচ্যুত করা হবেনা? এটাতো আরও জঘন্য অপরাধ কারণ একজন শিক্ষক হয়ে কিভাবে এমন কাজ করে? মাথার মধ্যে গবেষণা করার মগজ নাই, তাহলে যায় কেন গবেষণা করতে?’’

মঈন মুরশেদ লিখেছেন, ‘‘সামিয়ারা দলীয় আনুকূল্যে শিক্ষক হয়। তারপর অসম্ভব রকম যোগ্যতায় গবেষণা চুরি করে। এরা দিনে রাতে টিভিতে ও শ্রেণীকক্ষে মানুষদেরকে চেতনার সবক দেন, সবক দেন মানবিক আচরণ চর্চার! তাদের পদাবনমন হলে যথেষ্ট শাস্তি হয়না। এটা রীতিমত অবিচার। আমরা বুঝি, এই রায় দিতেই আপনারদের কোমল হৃদয়ে ঝরছে রক্ত বৃষ্টি! আপনারা একটা কাজ করতে পারেন সামিয়াদের জন্য গবেষণা চুরির উপর নতুন একটা পুরস্কার প্রবর্তন করুন। এবং সেটা ডক্টরেট সমমর্যাদার।’’

সোহেল লিখেছেন, ‘‘এ ম‌হিলা শিক্ষা নি‌য়ে এত বড় চু‌রি কর‌লো! অথচ টক‌শো‌তে তার কাছ থে‌কে আমা‌দের নী‌তি কথা শুন‌তে হয়। এধর‌ণের বাটপার, চোর, দুর্নী‌তিবাজ, দালালরা মি‌ডিয়‌ায় এসে আমা‌দের কা‌ছে নী‌তির জ্ঞান বিতরণ ক‌রে।’’

মাহানুর ইসলামের মন্তব্য, ‘‘শাস্তিটি হয়ে গেল ঠিক "ধর্ষণের জন্য ১০ বার কান ধরে উঠ-বস করার মত"। শিক্ষক যখন শিক্ষার সাথে চৌর্যবৃত্তি করে, তখন তাকে আর শিক্ষক রাখা উচিৎ নয়। তারা যেহেতু চেতনাবাজ, তাই তাদের নোবেল পুরস্কার দিন কিংবা মন্ত্রী বানান; কিন্তু প্লিজ তাদের শিক্ষক রেখে এমন মহান প্রতিষ্ঠানকে কলংকিত করবেন না।’’

জাহিদ হাসান লিখেছেন, ‘‘শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক, এরা টেলিভিশন এসে মানুষকে নৈতিকতার বাণী শোনায়। শিক্ষার্থীদের উচিত এ সকল শিক্ষকদের বর্জন করা। কারণ সকল শিক্ষকদের দ্বারা একজন শিক্ষার্থী ভালো কিছু আশা করতে পারে না।’’

আব্দুল্লাহ আল জামিল লিখেছেন, ‘‘অবশেষে তিন চোরের লঘু শাস্তি। টেলিভিশনের পর্দায় বসে জাতিকে যে কত শত নীতিবাক্য শুনান সামিয়া রহমান। এই নীতিবান মানুষটাই গবেষণা চুরিতে ধরা পড়েছে। তার সাথে আছে আরও দুইজন। চুরিও আবার বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল থেকে। দেশের এই তিন রত্মকে চুরির দায়ে শাস্তি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে শাস্তি যথাযথ হয়নি।’’



 

Show all comments
  • MD Akkas ৩০ জানুয়ারি, ২০২১, ১:০১ এএম says : 0
    এই সামিয়া রহমান এই আমাদের সাথে বেয়াদবি করেছে তখনও তাদের বিচার হয় নাই কিন্তু আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কারো বিচার না করে ছাড়েন না।
    Total Reply(0) Reply
  • Bongo... ৩০ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:২৪ এএম says : 0
    Taking only females in the teaching positions in our primary schools is degrading the quality of education in Bangladesh since female folks are more focused on taking care of their husbands and families and much less or no focus on their jobs. Who cares what the students are learning in the primary schools. This is the root for low morals/ low IQ of our students.
    Total Reply(0) Reply
  • *মুঃওয়াসিউল হক ৩০ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:০০ এএম says : 0
    আল্লার বিচার দেখুন, কিছুদিন আগে সহারিয়ার কবিরের সুরে সুর মিলিয়ে এই সামিয়া রহমান ইসলাম ধর্রের বিরুদ্ধে বিষধগার করেছিলো। ইসলামের কথা সুনলে এদের গা জ্বালা করে।সাহারিয়ার কবির কয়েক দিন পূর্বে জাতির সামনে ভিজাবিড়াল হয়েছিল,এবার সামিয়া রহমান চিহ্নিত হোল "চোর" হিসাবে। সাজা সঠিক হয় নাই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "চোরদের" বহিস্কার করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • *মুঃওয়াসিউল হক ৩০ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:০১ এএম says : 0
    আল্লার বিচার দেখুন, কিছুদিন আগে সহারিয়ার কবিরের সুরে সুর মিলিয়ে এই সামিয়া রহমান ইসলাম ধর্রের বিরুদ্ধে বিষধগার করেছিলো। ইসলামের কথা সুনলে এদের গা জ্বালা করে।সাহারিয়ার কবির কয়েক দিন পূর্বে জাতির সামনে ভিজাবিড়াল হয়েছিল,এবার সামিয়া রহমান চিহ্নিত হোল "চোর" হিসাবে। সাজা সঠিক হয় নাই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "চোরদের" বহিস্কার করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mdhabib ৩০ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:১৮ এএম says : 0
    এই সামিয়া রহমান হল ইসলামের একটা জ্যান্ত শত্রু তার শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ইসলামবিদ্বেষী কথাবার্তা ঘুরে বেড়ায় এই নারী নামের কলঙ্কই আজ চোর প্রমাণিত হলো কালকে দেখবেন আবার সে জাতিকে সুফীবাদী কথা বলার চেষ্টা করবে কারণ সে জানে যে এটা এমন একটা দেশ যেখানে কোন বিচার হয় না এই সুযোগেই তারা এই সমস্ত কাজ করার সুযোগ পায়
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ