পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমানসহ তিন শিক্ষকের পদাবনতির ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনেকেই। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাবির শিক্ষকদের এমন গর্হিত জালিয়াতিতে হতাশ ও বিস্মিত হয়েছেন দেশের সচেতন মহল। দাবি জানিয়েছেন আরও কঠিন শাস্তির।
গবেষণা জালিয়াতির দায়ে সামিয়া রহমান ছাড়াও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের পদাবনতি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি পিএইচডি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুককেও একই শাস্তি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের নিয়মিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
ফেসবুকে ক্ষোভ জানিয়ে নাজমুল হোসাইন লিখেছেন, ‘‘এইটা কোন শাস্তি হইলোনা, এমন নমনীয়তার কারনেই অপরাধ বেড়ে যায়।পরীক্ষায় নকল করলে যদি এক্সপেল করা হয় তবে গবেষনায় চুরির অপরাধে কেন চাকরিচ্যুত করা হবেনা? এটাতো আরও জঘন্য অপরাধ কারণ একজন শিক্ষক হয়ে কিভাবে এমন কাজ করে? মাথার মধ্যে গবেষণা করার মগজ নাই, তাহলে যায় কেন গবেষণা করতে?’’
মঈন মুরশেদ লিখেছেন, ‘‘সামিয়ারা দলীয় আনুকূল্যে শিক্ষক হয়। তারপর অসম্ভব রকম যোগ্যতায় গবেষণা চুরি করে। এরা দিনে রাতে টিভিতে ও শ্রেণীকক্ষে মানুষদেরকে চেতনার সবক দেন, সবক দেন মানবিক আচরণ চর্চার! তাদের পদাবনমন হলে যথেষ্ট শাস্তি হয়না। এটা রীতিমত অবিচার। আমরা বুঝি, এই রায় দিতেই আপনারদের কোমল হৃদয়ে ঝরছে রক্ত বৃষ্টি! আপনারা একটা কাজ করতে পারেন সামিয়াদের জন্য গবেষণা চুরির উপর নতুন একটা পুরস্কার প্রবর্তন করুন। এবং সেটা ডক্টরেট সমমর্যাদার।’’
সোহেল লিখেছেন, ‘‘এ মহিলা শিক্ষা নিয়ে এত বড় চুরি করলো! অথচ টকশোতে তার কাছ থেকে আমাদের নীতি কথা শুনতে হয়। এধরণের বাটপার, চোর, দুর্নীতিবাজ, দালালরা মিডিয়ায় এসে আমাদের কাছে নীতির জ্ঞান বিতরণ করে।’’
মাহানুর ইসলামের মন্তব্য, ‘‘শাস্তিটি হয়ে গেল ঠিক "ধর্ষণের জন্য ১০ বার কান ধরে উঠ-বস করার মত"। শিক্ষক যখন শিক্ষার সাথে চৌর্যবৃত্তি করে, তখন তাকে আর শিক্ষক রাখা উচিৎ নয়। তারা যেহেতু চেতনাবাজ, তাই তাদের নোবেল পুরস্কার দিন কিংবা মন্ত্রী বানান; কিন্তু প্লিজ তাদের শিক্ষক রেখে এমন মহান প্রতিষ্ঠানকে কলংকিত করবেন না।’’
জাহিদ হাসান লিখেছেন, ‘‘শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক, এরা টেলিভিশন এসে মানুষকে নৈতিকতার বাণী শোনায়। শিক্ষার্থীদের উচিত এ সকল শিক্ষকদের বর্জন করা। কারণ সকল শিক্ষকদের দ্বারা একজন শিক্ষার্থী ভালো কিছু আশা করতে পারে না।’’
আব্দুল্লাহ আল জামিল লিখেছেন, ‘‘অবশেষে তিন চোরের লঘু শাস্তি। টেলিভিশনের পর্দায় বসে জাতিকে যে কত শত নীতিবাক্য শুনান সামিয়া রহমান। এই নীতিবান মানুষটাই গবেষণা চুরিতে ধরা পড়েছে। তার সাথে আছে আরও দুইজন। চুরিও আবার বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল থেকে। দেশের এই তিন রত্মকে চুরির দায়ে শাস্তি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে শাস্তি যথাযথ হয়নি।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।