Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কৃষকদের সমর্থনে জীবনের শেষ অনশন আন্না হাজারের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:৪০ এএম

‘জীবনের শেষ অনশন’, ঘোষণা করলেন আন্না হাজারে। কৃষকদের দাবি মানা না হলে ৩০ জানুয়ারি থেকে অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সামাজিক আন্দোলনকর্মী আন্না হাজারে। এটিই তার ‘জীবনের শেষ’ অনশন হতে যাচ্ছে বলে জানান ৮৪ বছর বয়সী আন্না। চলমান কৃষক আন্দোলনে উত্তপ্ত পুরো ভারত। দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র‌্যালি নিয়ে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাজধানী নয়াদিল্লি। নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত কয়েক মাস ধরে কৃষকরা আন্দোলন করে আসছেন। খবর এনডিটিভি।

অবশ্য আগেই তিনি কৃষক আন্দোলনের সমাধান না হলে জানুয়ারির শেষে অনশনে বসার কথা জানিয়েছিলেন।
সমর্থকদের এই আন্দোলনে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন আন্না। তিনি মনে করেন, নতুন কৃষি আইন কোনো গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে হয়নি এবং দেশে কোনো নতুন আইন তৈরিতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ জরুরি।

৮৪ বছর বয়সী এই সমাজকর্মী বলেন, ‘সরকার কৃষকদের বিষয়ে কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। সরকার কৃষকদের প্রতি সংবেদনশীল নয়।’ এই ইস্যুতে গত তিন মাসে আন্না পাঁচবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো সঠিক সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি মোদি সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষকদের বিষয়টি নিয়ে আমি পাঁচবার মোদি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসার আবেদন জানিয়েছিলাম। কোনো উত্তর আসেনি। তাই জীবনের শেষ অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিলাম।’

ভারতবাসী আন্না হাজারেকে গাঁধীবাদী অনশন আন্দোলনের জন্যই তাঁকে চেনেন। দীর্ঘ আন্দোলন, অনশনের পর কার্যত তাঁর চাপে পড়েই ‘লোকপাল বিল’ পাশ হয়েছিল সংসদে। সেই অন্না হাজারে এবার দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়ালেন।

সম্প্রতি রালেগাঁও সিদ্ধিতে নিজের গ্রামে আন্না হাজারে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সরকার শুধু ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, যার উপর আমার কোনও আস্থা নেই। দেখা যাক, কেন্দ্র আমার দাবিদাওয়া নিয়ে কী ব্যবস্থা নেয়। এক মাসের সময় চেয়েছে সরকার। তাই জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত সময় দিয়েছি। দাবি না মিটলে ফের অনশন আন্দোলন চালু করব।’’

গত ১৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরকে একটি চিঠি লিখেছিলেন আন্না। তাঁর দাবি ছিল, এম এস স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশগুলি কার্যকর করতে হবে এবং কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণে ‘কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্ট অ্যান্ড প্রাইসেস’ (সিএসিপি)-কে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। এই দাবি না মানলে অনশনে বসার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তার পর মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার হরিভাউ বাগাড়ে অন্নার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কেন্দ্রের নতুন ৩টি কৃষি আইন সম্পর্কে তাঁকে ব্যাখ্যা দেন। তার পর গত ৮ ডিসেম্বর কৃষকদের ডাকা বন্ধে সমর্থন জানাতে ১ দিনের প্রতীকী অনশন করেন আন্না হাজারে। এখন জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনে কোনও সমাধান সূত্র বেরোয় কি না, তার উপরেই নির্ভর করছে, আন্নার জীবনের শেষ অনশন। খবর এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ