পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গবেষণায় জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষকের পদাবনতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পদাবনতি হওয়া তিন শিক্ষক হলেন- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুক। এদের মধ্যে সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি করা হয়েছে। সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান শিক্ষা ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদান করার পর আরও দুই বছর প্রভাষক পদে থাকবেন। এছাড়া ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুকের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলসহ তাকে প্রভাষক পদে অবনমন করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত থাকা একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অন্যের গবেষণা নকল করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত ২৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। সামিয়া রহমান ও সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের ব্যাপারে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান ছিলেন আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. রহমাতুল্লাহ। বাকি দুই সদস্যের মধ্যে একজন সিনেট প্রতিনিধি ও অন্যজন অভিযুক্ত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মনোনিত প্রতিনিধি ছিলেন।
প্রায় তিন বছর আগে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান এবং ক্রিমিনোলজি বিভাগের লেকচারার সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে গবেষণায় লেখা চুরি বা প্লেজারিজমের অভিযোগ ওঠে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. নাসরীন আহমাদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণা চুরির প্রমাণ পেলেও কোনও শাস্তির কথা উল্লেখ করেনি। এছাড়াও একই অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুকের ডিগ্রি বাতিল করা হয়েছিল।
এদিকে গতবছর জানুয়ারিতেও পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবুল কালাম লুৎফুল কবিরকে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।