মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মহামারির মধ্যে ভারতে আরও গভীর হয়েছে ধনী ও গরীবের মধ্যে বৈষম্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অক্সফ্যাম এর একটি সমীক্ষায় ভারতের মুষ্টিমেয় ধনকুবের এবং কোটি কোটি অদক্ষ শ্রমিকের আয়ের মধ্যে বিশাল ফারাকের বিষয়টি উঠে এসেছে।
অক্সফ্যামের ওই রিপোর্টের শিরোনাম ‘দ্য ইনইক্যুয়ালিটি ভাইরাস’ অর্থাৎ ‘বৈষম্যের ভাইরাস’। আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে শুরু হওয়া ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম’-এর বৈঠকে রিপোর্টটি উপস্থাপণ করা হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় ভারতে ধনকুবেরদের সম্পদ বেড়েছে গড়ে ৩৫ শতাংশ। উল্টো দিকে ৮৪ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে বিভিন্ন ভাবে। গত বছর এপ্রিলেই প্রতি ঘণ্টায় কাজ হারিয়েছেন ১ দশমিক ৭ লাখ মানুষ।
রিপোর্ট অনুযায়ি, গত বছরের মার্চ (যে সময় থেকে লকডাউন কার্যকর হয়) থেকে ভারতের ১০০ ধনকুবেরদের যে পরিমাণ সম্পদ বেড়েছে তা দিয়ে তারা দেশটির ১৩ কোটি ৮০ লাখ দরিদ্রতম মানুষকে অন্তত ১ লাখ ১০ হাজার টাকা করে দান করতে পারতেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ভারতের বাড়তে থাকা আর্থিক বৈষম্য মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। মহামারির সময়ে রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানীর ঘণ্টা পিছু যা আয় তা রোজগার করতে এক জন অদক্ষ শ্রমিকের ১০ হাজার বছর লাগবে।’ প্রসঙ্গত, গত বছর অগস্টেই বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে আসেন রিলায়্যান্স কর্ণধার। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যদি ভারতের শীর্ষস্থানে থাকা ১১ জন ধনকুবেরকে তাদের সম্পদ বৃদ্ধির অনুপাতে ১ শতাংশ হারে কর বাড়ানো হত তা হলে জন ওষধি প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি হত।
শারীরিক দূরত্ব বজায়, সাবান দিয়ে হাত ধোওয়ার মতো কোভিড বিধি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ওই রিপোর্ট। বলা হয়েছে, শহর এলাকায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিধি মেনে চলা ৩২ শতাংশ মানুষের কাছে বিলাসিতা মাত্র। কারণ তারা বেশির ভাগই এক অথবা দুই কামরার বাড়িতে বসবাস করেন। ৩০ শতাংশ মানুষের কাছে হাত ধোওয়ার জন্য সাবান জল জোগাড় করা কঠিন বলেও উল্লেখ রয়েছে ওই রিপোর্টে।
ভারত সরকারকে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে অক্সফ্যাম। সেই সঙ্গে তা ভবিষ্যতে নিয়মমাফিক বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। ভারতের পাশাপাশি লকডাউনের সময় বিশ্বজুড়ে আর্থিক বৈষম্যের কথাও তুলে ধরেছে অক্সফ্যাম। গত বছর ১৮ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের ধনকুবেরদের আর্থিক উন্নতি ‘বিস্ময়কর’ বলে আখ্যা দিয়েছে ওই রিপোর্ট। কোভিড সঙ্কট শুরুর মুহূর্ত থেকে বিশ্বের প্রথম ১০ ধনীর সম্পদও বাড়তে শুরু করেছে বলেও জানিয়েছে অক্সফ্যাম। সূত্র: দ্য হিন্দু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।