মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শনিবার ভারতের কলকাতায় কতিপয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকের অবিমৃশ্যকারিতায় তাল কেটে গেল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি জয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানের। ক্ষুব্ধ, বিরক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ না দিয়েই পোডিয়াম ছাড়লেন। তার পরেও অবশ্য সৌজন্যের খাতিরে আগাগোড়া মঞ্চে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অনুষ্ঠানের মধ্যে শ্রদ্ধা এবং ভব্যতার সুর আর তেমন ভাবে ফিরে আসেনি। ঘটনার সূত্রপাত অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মমতার নাম ডাকার পরেই। তিনি মঞ্চের চেয়ার ছেড়ে পোডিয়ামের দিকে এগোতেই সামনের সমবেত জনতার একাংশ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করে। যা শুনে দৃশ্যতই বিরক্ত হন মমতা। -আনন্দবাজার
খানিক বিব্রত ঘোষক বলেন, ‘‘আপনারা একটু শান্ত হোন। ওঁকে (মমতাকে) কিছু বলতে দিন।’’ কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ক্ষুব্ধ মমতা পোডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথমেই হিন্দিতে বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, সরকারি অনুষ্ঠানের একটা শালীনতা থাকা উচিত। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নয়। এটা সমস্ত দলেরই কর্মসূচি। জনতার কর্মসূচি।’’ মমতা বলেন, ‘‘আমায় এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ করে অসম্মান (মমতা ‘বেইজ্জত’ শব্দটি ব্যবহার করেন) করাটা শোভনীয় নয়। এর প্রতিবাদে আমি এখানে কিছু বলছি না। জয় হিন্দ! জয় বাংলা!’’ এর পরেই মমতা পোডিয়াম ছেড়ে চলে গিয়ে নিজের আসনে বসেন। যখন এই ঘটনা ঘটছে, তখন সেখানে নীরবে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। মমতার পরেই বলতে উঠে মোদী তাঁর ভাষণ শুরু করেন ‘বহেন মমতা’জি’ বলে। কিন্তু তাতেও গোটা অনুষ্ঠানের সুর ফিরে আসেনি।
প্রসঙ্গত, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে বছর দুয়েক আগে প্রকাশ্যোই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। গাড়ি থামিয়ে নেমে স্লোগানকারীদের সরাসরি চ্যালেঞ্জও জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি কোচবিহারে আবার তাঁকে লক্ষ্য করে ওই স্লোগান দেওয়া হলেও মমতা তাতে কর্ণপাত করেননি। কিন্তু শনিবারের কর্মূসচি ছিল একান্ত ভাবেই সরকারি। সেখানে রাজনীতির কোনও ছোঁয়া ছিল না। সকলেই দলমত নির্বিশেষে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত হয়েছিলেন। সেখানে ওই স্লোগান ওঠা অবাঞ্ছিত বলে বিজেপি নেতাদের একাংশও মনে করছেন। তাঁদের মতে, বিজেপি একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল বলেই পরিচিত। সেখানে এমন ধরনের অবিমৃশ্যকারিতা এবং বিশৃঙ্খলা শুধু অপ্রত্যাশিতই নয়, অভাবনীয়ও বটে। দলের এক প্রথমসারির নেতার কথায়, ‘‘অতি উৎসাহী কিছু লোকজন ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। এমন হওয়া একেবারেই উচিত ছিল না।’’ তবে ঘটনার অভিঘাত অনুষ্ঠান শেষের আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান টুইট করেছেন, ‘নেতাজির জন্মজয়ন্তীর সরকারি অনুষ্ঠানে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়ার তীব্র নিন্দা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।