নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদার আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কষ্টের জয় পেয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনী ১-০ গোলে হারায় জায়ান্ট কিলার খ্যাত রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে। বিজয়ী দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন স্থানীয় ফরোয়ার্ড জুয়েল রানা।
অন্যদিকে শনিবার একই সময়ে কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংস ১-০ ব্যবধানের জয় পায় অপেক্ষাকৃত দূর্বল ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের বিপক্ষে। বসুন্ধরার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন দ্য সিলভা।
বাংলাদেশ পুলিশ এফসি’র বিপক্ষে একমাত্র গোলের জয় দিয়ে এবারের লিগ মিশন শুরু করে আবাহনী। পরের ম্যাচে তারা ২-০ ব্যবধানে ব্রাদার্সকে হারালেও সমর্থকদের প্রত্যাশিত খেলা উপহার দিতে পারেনি। তৃতীয় ম্যাচেও একই রূপ। কাল পুরান ঢাকার দল রহমতগঞ্জের বিপক্ষে আক্রমণের পসরা মেলে ধরলেও ম্যাচের শেষ দিকে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় আবাহনী। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় আবাহনী। যদিও গোল হওয়ার মতো প্রথম সুযোগটি তারা পায় ২৩ মিনিটে। এসময় মামুনুলের ফ্রি-কিকে হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট কেরভেন্সের ব্যাক হেড বিপদমুক্ত করেন রহমতগঞ্জের ক্রিস্ট রেমি। তবে বল তার হাতে লাগলে পেনাল্টির আবেদন করেছিল আবাহনী। কিন্তু এ আবেদনে রেফারির সাড়া মেলেনি। ২৮ মিনিটে মামুনুলের কর্নারে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফ্রান্সিসকো রদ্রিগেজ ডি সৌসা ফিলহোর হেড লক্ষ্যে থাকেনি। এর পাঁচ মিনিট পর ফ্রান্সিসকোর শট লাফিয়ে ওঠে পাঞ্চ করে কর্ণারে রক্ষা করেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন।
রহমতগঞ্জ সুযোগটি নষ্ট করে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে। ডি-বক্সের একটু ওপর দিয়ে তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার দিলসদ ভাসিয়েভের ফ্রি-কিক বাইরে চলে যায়। গোলশূণ্য প্রথমার্ধ শেষ হলে বিরতির পর দু’দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়ে। ৭০ মিনিটে সুহেল মিয়ার মিয়ার শট আবাহনীর আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানির গায়ে লেগে বাইরে চলে গেলে সুযোগ নষ্ট হয় রহমতগঞ্জের।
অবশেষে অপেক্ষার পালা ফুরালো। ম্যাচে ৭৯ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পায় আবাহনী। এসময় রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো’তে বেলফোর্ট ব্যাক হেড নিলে রহমতগঞ্জের ডি-বক্সের ভেতরেই বদলি ফরোয়ার্ড জুয়েলের মাথার উপরে যায় বল। তিনি হেডে গোল করে আবাহনী শিবিরে আনন্দ ছড়ান (১-০)। বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় টানা তৃতীয় জয় পেয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
এদিন একই সময়ে কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অন্য ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেলেও সমর্থকদের মন কেড়ে নিতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। যদিও লিগে এটা কিংসের টানা তৃতীয় জয়। আগের দু’ম্যাচে তারা উত্তর বারিধারাকে ২-০ ও পুলিশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে। তৃতীয় ম্যাচে বসুন্ধরার সমর্থকদের আশা ছিল বড় জয়ের। কিন্তু ব্রাদার্সের রক্ষণদূর্গ সেটা হতে দেয়নি। বলা যায় নিজেদের হোম ভেন্যুতে প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা প্রত্যাশিত ফুটবল খেলতে পারেনি। তারপরও গোলের খেলা ফুটবলে তারাই সফলতা পেয়েছে। প্রথমার্ধ গোলশূণ্য শেষ হলে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে সফল হয় স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রæজনের দল। এসময় মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কাটব্যাকে বক্সে ফাঁকায় থাকা রবসন দ্য সিলভা নিখুঁত প্লেসিং শটে গোল করে দলকে স্বস্তি এনে দেন (১-০)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস। আবাহনীর মতো টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।