মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে গড়ে প্রতি তিনদিনে একজন সৈনিক আত্মহত্যা করছে। দেশটির উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী পাটনায়েক সংসদের নিম্ন সভায় (লোকসভা) এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে বলেছিলেন যে, ২০১৯ সালে ভারতীয় নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং সেনাবাহিনীতে মোট ৯৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নৌবাহিনীতে দুটি, বিমান বাহিনীতে বিশজন আর সেনাবাহিনীতে ৭৩টি আত্মহত্যার খবর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ১১১০ জন সেনা আত্মহত্যা করেছে। তাদের মধ্যে ৮৯৫ স্থলসেনা সদস্য, ১৮৫ জন বিমান বাহিনীর এবং ৩২ জন নৌবাহিনীর জওয়ান অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই হিসেবে তিন বাহিনীতে সর্বাধিক সংখ্যক আত্মহত্যা আর্মিতে সংঘটিত হচ্ছে। সিনিয়র অফিসারদের খারাপ ব্যবহার এবং প্রকৃত প্রয়োজন সত্ত্বেও ছুটি না পাওয়া আত্মহত্যার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) এর মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার হার বিদ্যমান। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সালে মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ১২৩ জন ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে। তার মানে প্রতিদিন গড়ে ৩৮১ জন মানুষ! ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ভারতে আত্মহত্যার হার ৩.৪% বেড়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর থিংক ট্যাঙ্ক ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউশন অফ ইন্ডিয়া (ইউএসআই) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এতে বলা হয় যে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অর্ধেকেরও বেশি সেনা “চরম চাপ” এর মধ্যে রয়েছে এবং সশস্ত্র বাহিনীতে আত্মহত্যার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অবশ্য পরে এর প্রতিবেদনটি মুছে ফেলে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, মার্কিন সিনিয়র গবেষণা ফেলো কর্নেল এ কে মুরের প্রস্তুতকৃত এই প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে ভারতের প্রতিরক্ষা জগতে হইচই পড়ে যায়। কর্নেল মুর তার প্রতিবেদনে বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদবিরোধী পরিবেশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দীর্ঘকালীন উপস্থিতিও তাদের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করার অন্যতম কারণ।”
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে শত্রুর হাতে মারা যাওয়ার চেয়ে আত্মহত্যাকারী সেনা জওয়ানদের সংখ্যা বেশি।
সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, কোনো যুদ্ধ বা সংঘর্ষ ছাড়াই শুধুমাত্র দুর্ঘটনা বা অসুস্থতা ও আত্মহত্যার কারণে ভারতের সেনাবাহিনীতে প্রতিবছর ১৬০০ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের কাশ্মির যুদ্ধে ১১০৪ জন, চীনের সঙ্গে ১৯৬২ সালের যুদ্ধে ৩২৫০ জন, পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ৩২৬৪ জন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩৮৪৩ জন, ১৯৮৭-তে শ্রীলঙ্কায় ১১৫৭ জন ও ১৯৯৯-এ পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর যুদ্ধে ৫২২ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। কিন্তু কোন গোলাগুলি ছাড়াই বছরে গড়ে ১৬০০ সেনার মৃত্যু হচ্ছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।