Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দায়িত্ব গ্রহণ করেই করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিলেন বাইডেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:০০ পিএম

গত ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করোনা মোকাবিলায় নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। শপথ নিয়েই পুরোদমে যেন কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনই পুরোটা সময় অফিসে ছিলেন নতুন অভিষিক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুরুতেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় কৌশল নির্ধারণের দিকে মনোযোগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ সংক্রান্ত অনেকগুলো নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি। -আল জাজিরা, নিউইয়র্ক টাইমস, এবিসি

করোনার টিকার সরবরাহ বাড়ানো, জনস্বাস্থ্য নীতিকে গুরুত্ব দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকারীদের করোনা নেগেটিভ ফলাফলের প্রমাণপত্র দেখানোর শর্তারোপের বিষয়ে পদক্ষেপ নেন বাইডেন। মার্কিন নাগরিকদের করোনা পরিস্থিতির আসন্ন কঠিন দিনগুলো নিয়ে সতর্ক করেন তিনি। এদিন হোয়াইট হাউসে বাইডেন বলেন, ‘পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। আগামী মাসে সম্ভবত মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘বিগত এক বছরে দেখেছি, জরুরি ভিত্তিতে, মনোযোগ দিয়ে এবং সমন্বয় নিয়ে কাজ করতে ফেডারেল সরকারের ওপর আমরা নির্ভর করতে পারিনি এবং এই ব্যর্থতার করুণ মূল্য দিতে হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে।’

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও টিকা সরবরাহ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা উঠে আসে তার বক্তব্যে। পুরো বিষয়টাকে ‘বেদনাদায়ক ব্যর্থতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের জাতীয় কৌশলটি বিস্তৃত, এটি বিজ্ঞানভিত্তিক, রাজনৈতিক নয়। এটি সত্যের ওপর ভিত্তি করে, অসত্যের ওপর নয় এবং এটি বিস্তারিত।’ নতুন প্রশাসনের কৌশল নিয়ে ইতিমধ্যে ১৯৮ পৃষ্ঠার একটি পরিকল্পনা হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছেন তিনি। তার কৌশল ও পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, নতুন প্রশাসনের প্রথম একশ দিনে একশ মিলিয়ন টিকাদান কার্যকর করা। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জনস্বাস্থ্যনীতি নিয়ে মানুষকে সচেতন করা ও দিক নির্দেশনা দেওয়া, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করা এবং নিরাপদে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল খুলে দেওয়া। তিনি জানান, তার এই পরিকল্পনা গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসিসহ অন্যান্য উপদেষ্টা ও বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করা হয়েছিল।

ট্রাম্প প্রশাসনের হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের শীর্ষ উপদেষ্টা ছিলেন ফাউসি। মহামারী ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে তার বিরোধ দেখা দিয়েছিল। করোনা মোকাবিলায় বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গেও আছেন ফাউসি। বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকার জনগণ প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে নয়, প্রকৃত বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে শুনবে।’ বিশেষজ্ঞদের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপেরও সমালোচনা করেন তিনি। কোনও ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই বিশেষজ্ঞরা শুধু বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন বলে জানান জো বাইডেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ