মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এবং ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় যদি বাইডেন প্রশাসন ফিরে যায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে ইসরাইলের সংবাদমাধ্যম ওয়ালা জানায়, একটি কংগ্রেসনাল শুনানিতে সেক্রেটারি অফ স্টেট-মনোনীত অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইরানের সাথে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে যাওয়ার বিষয়ে আশ্বাসজনক বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এ বিষয়ে শুধু রিপাবলিকানরাই নয়, ইসরাইল ও উপসাগরীয় দেশগুলোও উদ্বিগ্ন এবং তারা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাইডেনকে ইরানের সাথে চুক্তিতে ফেরত না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এ বিষয়ে যে কোন সিদ্ধান্তের আগে তিনি অবশ্যই তাদের সাথে পরামর্শ করবেন বলে ইসরাইল আশা করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আশঙ্কা বোধগম্য এবং অবাক হওয়ার মতো বিষয় নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নতুন প্রশাসন এ বিষয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে। তবে তারা এতে সফল হবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।
ওয়ালার মতে, ব্লিংকেন মধ্য প্রাচ্যের আমেরিকার মিত্রদের আশ্বাস দিয়েছেন যে পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আসা দীর্ঘ প্রক্রিয়া যা তাদের পরামর্শ নিয়েই ঘটবে। দৈনিকটি উল্লেখ করেছে যে, নেতানিয়াহু শীর্ষ-স্তরের পদের জন্য বাইডেনের কিছু বাছাইয়ের বিষয়েও উদ্বিগ্ন ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে ইরানের বিশেষ দূত হিসাবে বিবেচিত রবার্ট ম্যালি, উপ-সচিব পদের জন্য বাইডেনের মনোনীত প্রার্থী ওয়েন্ডি শেরম্যান, সিআইএ ডিরেক্টরের পক্ষে তার মনোনীত প্রার্থী এবং তার জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। এই কর্মকর্তারা প্রত্যাক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইরানের সাথে ২০১৫ সালের পরমাণু সমঝোতার দিকে পরিচালিত আলোচনায় ভূমিকা রেখেছিলেন। ইসরাইল এবং কিছু উপসাগরীয় দেশগুলোর যার তীব্র বিরোধিতা করেছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে, ট্রাম্প ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এসেছিলেন। ইসরাইল এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে প্রশংসা করেছিল।
এর আগে গত বুধবার ইসরাইলের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার বরাতে চ্যানেল-১২ এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি বারাক ওবামা প্রশাসনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তাহলে তার সঙ্গে আলোচনার কোনো কিছুই থাকবে না। চ্যানেল-১২ এর এই প্রতিবেদনে সুস্পষ্ট করা হয়নি যে, ইসরাইলের শীর্ষ পর্যায়ের ওই কর্মকর্তা জো বাইডেনের কোনো পরিকল্পনার কথা বোঝাতে চেয়েছেন কিনা। তবে ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইসরাইল ভিন্ন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা ইরানের পরমাণু সমতায় ফেরার কথা বলেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলের গণমাধ্যমে যেদিন এই রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে সেইদিনই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। চ্যানেল ১২- এর রিপোর্টে আরও বলা হয়, মার্কিন প্রশাসন যদি পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসে তাহলে ইসরাইল এবং আমেরিকার সম্পর্ক সঙ্কটের মধ্যে পড়বে। সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।