নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কোথায় থামবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো? প্রশ্নটা আসছে তার রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলার কারণে। বয়স ৩৫ ছাড়িয়ে গেছে, কিন্তু এখনও গোলের পর গোল করে নতুন সব কীর্তি গড়ছেন পর্তুগিজ যুবরাজ। তবে পরশু রাতে যে রেকর্ডটি গড়লেন, সেটির মাহাত্ম্য অন্য পর্যায়ের। ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলের মালিক যে এখন তিনিই। ইতালিয়ান সুপার কাপে একবার লক্ষ্যভেদ করে ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা রোনালদো নিয়ে গেছেন ৭৬০-এ। যাতে ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় শীর্ষে বসেছেন জুভেন্টাস তারকা।
এতদিন জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে সাবেক অস্ট্রো-চেক স্ট্রাইকার ইয়োসেফ বিকান ৭৫৯ গোল নিয়ে ছিলেন শীর্ষে। গত ১০ জানুয়ারি সিরি ‘আ’তে সসুলোর বিপক্ষ লক্ষ্যভেদ করে বিকানকে ছুঁয়েছিলেন। আর সবশেষ সুপার কাপে নাপোলির বিপক্ষে বল জালে জড়িয়ে তাকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে গেলেন রোনালদো। রেকর্ড গড়া ম্যাচটি পর্তুগিজ যুবরাজ রাঙিয়ে নিয়েছেন উৎসবের রঙে। তার সঙ্গে আলভারো মোতারার লক্ষ্যভেদে নাপোলিকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইতালিয়ান সুপার কাপের শিরোপা জিতেছে জুভেন্টাস।
ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফার অবশ্য আনুষ্ঠানিক ‘সম্মতি’ নেই এই রেকর্ডের। বিকান ছাড়া আরও যে দুজন- পেলে ও রোমারিওকে টপকে শীর্ষে বসেছেন রোনালদো, তাদের সবারই গোল ১ হাজারের ওপরে বলে দাবি করা হয়। যদিও ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক বড় সংবাদমাধ্যম ও ফুটবল পরিসংখ্যান সাইটগুলো বিয়ানের ৭৫৯ গোলকেই সর্বোচ্চ গোল হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। তাই ক্লাব ও জাতীয় দলের জার্সিতে ৭৬০ গোল করে এখন সবার ওপরে রোনালদো।
ক্যারিয়ারের ১ হাজার ৪০তম ম্যাচে এসে গোলের এই কীর্তি গড়লেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ইতিহাস লেখার পথে রোনালদো সবচেয়ে বেশি গোল পেয়েছেন রিয়ালের জার্সিতে। জুভেন্টাসে নাম লেখানোর আগে মাদ্রিদে করে এসেছেন ৪৫০ গোল। এছাড়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ১১৮, বর্তমান ক্লাব জুভেন্টাসে ৮৫, স্পোর্তিং লিসবনে ৫ ও জাতীয় দল পর্তুগালের জার্সিতে করেছেন ১০২ গোল।
এদিকে রোনালদোর রেকর্ড ও শিরোপা জয়ের রাতে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে তার সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের আকাশে। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কাছে হেরে স্প্যানিশ সুপার কাপ থেকে বাদ পড়ার স্মৃতিটা একদমই তাজা। সেই ক্ষত না শুকাতেই এবার নতুন করে ধাক্কা খেল রিয়াল মাদ্রিদ। একই রাতে তৃতীয় বিভাগের দল আলকয়ানোর কাছে ২-১ গোলে হেরে বাদ পড়ে গেল কোপা দেল রের শেষ ৩২ থেকে।
বিলবাওয়ের ম্যাচের পর নয়টি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল রিয়াল। একাদশে কাল ছিলেন শুধু লুকাস ভাজকেজ ও কাসেমিরো। ডিফেন্ডার এদার মিলতাওয়ের ৪৫ মিনিটের গোলে শুরুতে রিয়ালই এগিয়ে যায়। কিন্তু ৮০ মিনিটে গোলটা শোধ করে দেন সলবেস। এর মধ্যেই গোলের জন্য জিদান নামান করিম বেনজেমাকে। পরে নামেন টনি ক্রুস, এডেন হ্যাজার্ডরা। অতিরিক্ত সময়ের ১১০ মিনিটে গোলে লাল কার্ড দেখে দশ জনের দলও হয়ে যায় আলকয়ানো। কিন্তু উলটো ১১৫ মিনিটে কাসানোভার গোলে তারা হতভম্ব করে দেয় রিয়াল মাদ্রিদকে।
রিয়াল মাদ্রিদের জন্য অনেক দিন ধরেই কোপা দেল রে অধরা। সর্বশেষ ২০১৩ সালে এই প্রতিযোগিতা জিতেছিল তারা, ১৯৯৩ সালের পর থেকে জিতেছে মাত্র দুই বার। তবে তার চেয়েও হতাশার, ২০০১ সালের পর তৃতীয় বিভাগের কোনো দলের কাছে এই নিয়ে পাঁচ বার হারল তারা। তাও আবার কাল শেষ ১০ মিনিটে একজন বেশি নিয়েও জয় পায়নি। এমন একটা পরাজয়ের পর স্প্যানিশ দৈনিক এএস জিনেদিন জিদানের শেষ দেখছে। জিদান অবশ্য তার ঘাড়েই সব দোষ নিয়েছেন, তবে এই হারটাকে লজ্জা বলতে তিনি নারাজ।
অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দৌড় জমিয়ে তুলেছে ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব। অ্যাস্টন ভিলাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর ফুলহ্যামকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইউনাইটেড। ১৯ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই আছে রেড ডেভিলরা। আর এক ম্যাচ কম খেলে ৩৬ পয়েন্ট কম নিয়ে টেবিলের দুইয়ে সিটিজেনরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।