প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রচারণা নিয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছেন অভিনেতা ও নির্মাতা মীর সাব্বির। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা মনে করেন এক সময় ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত মীর সাব্বির এভাবে সরাসরি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় যুক্ত হওয়া ঠিক হয়নি। তারা মনে করেন, ছাত্রদলে মনোনীত প্রার্থী হয়ে বরগুনা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদে বিপুল ব্যবধানে নাট্য ও সাংস্কৃতিক স¤পাদক পদে সাব্বির নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার এই বিপরীত বা ইউটার্ন নেয়া নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। এক ফেসবুক পোস্টে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক স¤পাদক হুমায়ূন হাসান শাহীন মীর সাব্বিরকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, “তুমিও নিজেকে ধরে রাখতে পারলে না সাব্বির? কৈশোর আর যৌবনের শুরুতে তুমি ছিলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আলোকিত মুখ। আমাদের হাত ধরেই ছাত্র রাজনীতির দুর্গমপথে তোমার অভিযাত্রা ছিল অপ্রতিরোধ্য। ছাত্রদল মনোনীত বরগুনা সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের নাট্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক স¤পাদক পদে তুমি নির্বাচিত হয়েছিলে বিপুল ভোটে। এই তো সেদিনও আমার সাথে তুমি ছিলে মিছিল মিটিংয়ের অগ্রভাগে। শিল্পী হিসেবে জীবন শুরু হওয়ায় রাজনীতি থেকে বিদায় নিলে এবং এটাই স্বাভাবিক ছিল। কারণ, একজন শিল্পীর কোনো দল নেই, জাত নেই। আমরা এমন সাব্বিরকেই দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সেই জায়গা থেকে আমরা তোমায় হারিয়ে ফেললাম আজ। তিনি বলেন, একজন শিল্পীর কোনো দল-মত থাকতে পারে না। তাই শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর আমরাই তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিয়েছিলাম। সেই সাব্বির যখন নিজের আদর্শ আর পারিবারিক ঐতিহ্য বিসর্জন দিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় নামে, সেটা দেখা আমাদের জন্য অনেক কষ্টের, অনেক বেদনার। তবুও তোমার প্রতি ¯েœহ ভালোবাসা সবসময়। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য রাজিবুল ইসলাম সোহেল লিখেছেন, মীর সাব্বির সাবেক ছাত্রদল নেতা। বরগুনা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল থেকে নাট্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক স¤পাদক পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিল। ঐতিহ্যবাহী মীর পরিবারের ৯০% লোক জাতীয়তাবাদী আদর্শ ধারণ করে। তিনি যেভাবে বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন ও জনসভা করছেন তাতে শুধু অবাক না, বিস্মিত হয়েছি। অভিনেতা সে শুধু অভিনেতাই। জেলা যুবদলের দফতর স¤পাদক হুমায়ূন কবীর লিখেছেন, আমি হতবাক ও বিস্মিত। একজন মীর সাব্বির। সাবেক ছাত্রদল নেতা। বরগুনা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল থেকে নাট্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক স¤পাদক পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিল। ঐতিহ্যবাহী মীর পরিবারের ৯০ শতাংশ লোক জাতীয়তাবাদী আদর্শ ধারণ করে। তিনি যেভাবে বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন ও জনসভা করছেন তাতে শুধু অবাক না, বিস্মিত হয়েছি। এ ব্যাপারে মীর সাব্বির বলেন, আমি কৈশোর থেকেই থিয়েটার, গান-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়ি। অভিনয় করতাম, গান করতাম। খেলাঘরসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সে সুবাদে এলাকা ও কলেজে আলাদা জনপ্রিয়তা ছিল আমার। সেই জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে কলেজের ছাত্রদল আমাকে ব্যবহার করেছিল। দেখবেন, কলেজে এগুলো হরহামেশাই হয়। কোনো ছাত্র জনপ্রিয় হলে তার সেই জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন তাকে দলে টানার চেষ্টা করে। আমার বিষয়টিও তাই। আমাকে যারা ছোট থেকেই চেনেন তারাও বিষয়টি জানেন। আমি নিজে যখন জীবনবোধ, মূল্যবোধ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধকে উপলব্ধি করতে শিখেছি, তখন থেকেই আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করেছি। একটি অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেছি। সেই তাগিদ থেকেই গত জাতীয় নির্বাচনে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারণা চালিয়েছি। তখন কিন্তু কেউ কোনো সমালোচনা করেনি। এখন স্থানীয়ভাবে যখন বরগুনার একজন নৌকার প্রার্থীর জন্য ভোট চাচ্ছি তখন কেন সবাই অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তা সহজেই বোধগম্য। তারা আসলে নিজেদের পরাজয় দেখতে পারছেন। কিন্তু সেটা মেনে নিতে পারছেন না। এজন্যই পুরোনো ছেলেমানুষি ঘটনা টেনে আলোচনায় আনতে চাইছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।