নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফরাসি লিগ ওয়ানে নিষ্প্রভ পারফর্ম করেও জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। পরশু অঁজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা জায়গা করে নিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। অন্যদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এসেছে লেস্টার সিটি। নিজ মাঠে পরশু রাতে সাউদাম্পটনকে ২-০ গোলে হারায় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। জেমস ম্যাডিসন ও হার্ভি বার্নস দলের হয়ে গোল করেন। রাতের অন্য ম্যাচে চেলসি ১-০ গোলে হারিয়েছে ফুলহ্যামকে। এই জয়ে চেলসি দশ থেকে উঠে এসেছে সাত নম্বরে। ফুলহ্যাম পিছিয়ে গেছে ১৭তম স্থানে।
অবশ্য ম্যাচের আগের দিন দুঃসংবাদ শুনেছিল পিএসজি। করোনার হানায় আইসোলেশনে চলে গেছেন তাদের কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। তার প্রভাব ম্যাচেও পড়েছিল। শুরুর দিকে বরং তাদের ওপর চেপে খেলার চেষ্টা করেছিল অঁজিরা। শেষ চার ম্যাচে গোলের দেখা না পাওয়া এমবাপ্পেকে তো ছন্দেই পাওয়া যায়নি। তার ওপর বৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠা মাঠে আনহেল ডি মারিয়াও সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ফলে প্রথমার্ধে লক্ষ্য বরাবর কোনও শটই নিতে পারেনি তারা! বিরতির পরও এই চিত্রের ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু পিএসজিকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেছেন কুরজাওয়া। ৭০ মিনিটে ফ্লোরেঞ্জির ক্রস থেকে দারুণ এক ভলিতে জয় সূচক গোলটি করেছেন ফারসি এই ডিফেন্ডার। যা তার মৌসুমের প্রথম গোল। এই জয়ে ২০ ম্যাচ শেষে শীর্ষে উঠে আসা পিএসজির ঝুলিতে ৪২ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা লিওঁর চেয়ে তাদের ২ পয়েন্ট বেশি। ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে লিল।
প্রিমিয়ার লিগে লেস্টারের মাঠ কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে শুরুটা ভালো করে সাউদাম্পটন। কোভিড আক্রান্ত তারকা স্ট্রাইকার ড্যানি ইংসকে ছাড়া খেলতে নেমে কাউন্টার অ্যাটাকে তারা ব্যস্ত রাখে স্বাগতিক ডিফেন্সকে। লেস্টারের বক্সে হানা দেন চে অ্যাডামস। ডিফেন্ডার ওয়েসলি ফোফানা সে যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন ঘরের দলকে। এর দুই মিনিট পর আক্রমণের প্রথম সুযোগ পায় লেস্টার। ১৯ মিনিটে বার্নসের শক্তিশালী শট থেক দলকে রক্ষা করেন সাউদ্যাম্পটন গোলকিপার অ্যালেক্স ম্যাকার্থি। ৩৭ মিনিটে গোলের দেখা পায় লেস্টার। ইউরি তিয়েলেমানসের পাস বক্সে খুঁজে পায় ম্যাডিসনকে। প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারের চার্জকে এড়িয়ে কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে দলকে এগিয়ে দেন ম্যাডিসন।
বিরতির ঠিক আগে রায়ান বারট্রান্ডের শট ঠেকিয়ে দলের লিড ধরে রাখেন লেস্টার গোলকিপার ক্যাস্পার স্মাইকেল। ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে লেস্টার। দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল একই দৃশ্য। দুই দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ নির্ভর খেলা উপহার দেয়। তবে, গোলের দেখা পাচ্ছিল না কেউই। ৭৩ মিনিটে সাউদাম্পটনের রায়ান আর্মস্ট্রংয়ের শট স্মাইকেলকে ফাঁকি দিলেও বারে লেগে প্রতিহত হয়। এর দুই মিনিট পর লেস্টারকে হতাশ করেন সফরকারী ডিফেন্ডার ইয়ান বেদনারেক। বার্নসের শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন এই ডিফেন্ডার। দুই দলের টানটান লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হাসেন বার্নসই। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে তার গোলের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয় লেস্টারের। তিয়েলেমানসের পাস থেকে ঠান্ডা মাথায় স্কোর করে দলকে জয় পাইয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড।
এই জয়ে ১৮ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এসেছে লেস্টার সিটি। শীর্ষ থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সংগ্রহ ৩৬ পয়েন্ট। তারা ম্যাচ খেলেছে একটি কম। তিন নম্বরে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ১৭ ম্যাচে ৩৩।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।