মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কর্মস‚চির প্রথম দিন ১ লাখ ৯১ হাজার মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই স¤প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, প্রথমদিনে প্রায় তিন লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা ছিল, তবে মানুষের দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। শনিবার সাড়ে ১০টার দিকে ভারতে করোনার ভ্যাকসিন কর্মস‚চির স‚চনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কর্মস‚চি সফল করতে সরকার ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তিন হাজারের বেশি টিকাকেন্দ্র স্থাপন করে। বিভিন্ন টিকাকেন্দ্র থেকে দুই ধরনের টিকা দেওয়া হয়েছে। একটি সেরাম ইনস্টিটিউটে প্রস্তুত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’, অন্যটি ভারত বায়োটেকে তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকা। সেরাম পুনেভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, ভারত বায়োটেক হায়দরাবাদের প্রতিষ্ঠান। চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারত সরকার ‘কোভিশিল্ড’ ও ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকার অনুমোদন দেয়। প্রথম দিনে প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ১০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়। সে হিসাবে প্রথম দিনে প্রায় তিন লাখ মানুষের টিকা গ্রহণের কথা ছিল। তবে দিনশেষে দেখা যায়, ১ লাখ ৯১ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সরকারি স‚ত্রগুলো বলছে, টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে লোকজনের মধ্যে যথেষ্ট দ্বিধা-দ্ব›দ্ব রয়েছে। এ কারণে প্রথম দিনের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। কর্মকর্তারা বলেছেন, এদিক দিয়ে প্রথম দিনে তারা সফল যে টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে কাউকে হাসপাতালে যেতে হয়নি। টিকা নিয়ে কোনও রকম অপপ্রচার বা গুজবে কান না দিতে ভারতবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে তিনি টিকা নেওয়া সত্তে্ও সবাইকে করোনার স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলেছেন। প্রথম ধাপে দেশটি স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত তিন কোটি মানুষকে বিনা ম‚ল্যে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। পরের ধাপে ২৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে বয়স্ক ও দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন রোগে ভোগা ব্যক্তিরা টিকা পাবেন। অপর দিকে, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভ্যাকসিন নেয়ার প্রথম দিনই ৫২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই। এদের মধ্যে একজনের শরীরে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এছাড়া তেলেঙ্গানায় ১১ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার থেকে দেশটিতে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোভিড টিকাদান কর্মসুচি। দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দুয়েকটি ছোট ঘটনা ছাড়া দেশজুড়ে নির্বিঘ্নেই প্রথমদিনের টিকাদান শেষ হয়েছে। তবে রাত বাড়তেই বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর আসতে শুরু করে। কলকাতায়ও ভ্যাকসিন নেয়ার পর এক নার্স অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। দিল্লি থেকে প্রথমে জানা যায় টিকা নেয়ার পর ২ স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। চরক পালিকা হাসপাতালে টিকা নেয়ার পর তারা বুকে চাপ অনুভব করেন। ৩০ মিনিটের জন্য তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। পরে দিল্লি সরকার জানায়, দিল্লিতে ৫২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। তবে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন সাংবাদিকদের বলেন, টিকা দেয়ার পর দেশে কোনো বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে দিল্লি সরকার এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি। এদিকে কো-উইন অ্যাপের সমস্যায় দেশটির কয়েকটি রাজ্য সমস্যায় পড়েছে। এই সমস্যার জেরে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত টিকা দেয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে মহারাষ্ট্র। শনিবার টিকাদান শুরুর প্রথম দিনে মহারাষ্ট্রে ২৮,৫০০ জনকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছিল। তবে সারাদিনে মাত্র ৬৪.৩৪ শতাংশ বা ১৮,৩৩৮ জন টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। তবে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, শুধু মহারাষ্ট্রে নয়, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরাখন্ডের কয়েকটি জেলায়ও কোন্ডউইন অ্যাপ ব্যবহারের সময় সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।