পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
চীনের সিনোভ্যাক সংস্থার উৎপাদিত ভ্যাকসিনের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার থেকে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে তুরস্ক। ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান। জনগণকে উৎসাহিত করতে তার ভ্যাকসিন গ্রহণের দৃশ্য টিভিতে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। এদিকে, আজ থেকে ভারতেও গণহারে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হচ্ছে।
তুর্কি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারা দেশে ১০ লাখেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে এ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হবে। পরে দেয়া হবে নার্সিংহোমে বসবাসকারী বৃদ্ধদের। ফেরিহা ওজেড ইমারজেন্সি হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক নুরেত্তিন ইয়ায়েত জানান, তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুলের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের টিকাদান দুই দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ২০২০ সালে নির্মিত বিশেষায়িত এ হাসপাতালে দ্রæততম উপায়ে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য টিকা দেওয়ার ৩০টি কক্ষ বরাদ্দ করা হয়েছে। হাসপাতালের সব কক্ষে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর ডক্টর নুরেত্তিন বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সর্বাধিক এক হাজার ৮০০ জনকে ইনজেকশন করতে পারি। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরো বাড়ানো যেতে পারে।’ ভ্যাকসিন দেয়ার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি একটি অনলাইন ব্যবস্থা এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তুরস্কের ৮১ প্রদেশে পরিচালিত হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি ভ্যাকসিনের দীর্ঘ মেয়াদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোও শনাক্ত করতে পারে। প্রয়োজনীয় সব সুরক্ষা সংক্রান্ত পরীক্ষা শেষে গত বুধবার তুরস্কের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিনোভ্যাকের উৎপাদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এর আগে ঘোষণা করা হয় যে এই ভ্যাকসিন তুরস্কে ট্রায়ালের ক্ষেত্রে ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ কার্যকর ছিল।
এদিকে, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতজুড়ে শুরু হবে করোনা টিকাদান কর্মসূচি। এতে শরিক হচ্ছে ভারতের ৩ হাজার ৬টি টিকাকেন্দ্র। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সব টিকাদান কেন্দ্রই যুক্ত থাকবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। প্রথম দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনকে দেয়া হবে টিকা। ভারত সরকার দুটি টিকাকে অনুমোদন দিয়েছে। একটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ভারতের সেরাম ইস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং অন্যটি ভারতের হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন। ইতিমধ্যে দেশের সব টিকাদান কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে এই দুটি টিকা। ভারতের ১৩টি শহরে এই টিকা পাঠানো হয়েছে আকাশপথে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর, টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।