Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আগষ্ট মাসে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক উন্নতি হলেও ভ্যাকসিন কার্যক্রম আশাব্যঞ্জক নয়

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২:৪০ পিএম

দক্ষিনাঞ্চলে করোনা সংক্রমন আগষ্ট মাসে কিছুটা হ্রাস পেলেও ভ্যাকসিন কার্যক্রমে খুব একটা গতি নেই। জুলাই মাসে ৮৭৩ জনের দেহে করেনা পজিটিভ শনাক্ত হলেও সদ্য সমাপ্ত আগষ্ট মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় সংখ্যাটা ১০৮ জনে হ্রাস পায়। জুলাই মাসে করোনা সংক্রমনে ৩ জনের মৃত্যু হলেও আগষ্ট মাসে কেউ মারা যায়নি। জুন মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭১। এছাড়া গত গত মর্চে ১২০ জন, এপ্রিলে ৭ জন এবং মে মাসে ৩ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিল দক্ষিণাঞ্চলের ৪২ উপজেলায়। এনিয়ে দক্ষিনাঞ্চলে সর্বমোট করেনা আক্রান্তের সংখ্যাটা দাড়াল ৫৩ হাজার ৯২৫ জনে। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৯৩ জনের।

এদিকে প্রায় ১ কোটি জনসংখ্যার দক্ষিণাঞ্চলে গত ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৬ জনের দেহে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ এবং ৬১ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৪ জনের দেহে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ সম্ভব হয়েছে। আর ১৮ বছর ও তদোর্ধের প্রায় ৮০ লাখ জনসংখ্যার মাত্র ২১ লাখ ৬২ হাজার ৯৯৩ জন বুষ্টার ডোজ গ্রহন করেছেন। এ হিসেবে বুষ্টার ডোজ গ্রহনকারীর হার এখনো ২১%-এর কম।
এমনকি সদ্য সমাপ্ত আগষ্ট মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৪২ উপজেলায় মাত্র ১৭ হাজার ৯২২ জন করোনা ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ এবং ২৪ হাজার ৮৭৮ জন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছেন। আর গত মাসে ৯৪ হাজার ৩৭৬ জন বুষ্টার ডোজ গ্রহন করলেও জুন মাসে সংখ্যাটা ছিল ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬৯। গত মাসের মধ্যভাগ থেকে সারা দেশের সিটি করপোরেশন এলাকার মত বরিশাল মহানগরীতেও ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রÑছাত্রীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলেও এ নগরীতে মাত্র ১০ হাজার ৩৭০ শিশুর দেহে তা প্রয়োগ সম্ভব হয়েছে।
এদিকে এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ২০২১-এর ৭ জানুয়ারী থেকে গত জানুয়ারীর প্রথমভাগ পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় যেখানে ৪৪ লাখ ১০ হাজার ৬১৬ জন প্রথম ডোজ এবং ৩১ লাখ ৫৪ হাজার ৫৭৩ জন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছিলেন, সেখানে গত ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৬ জন প্রথম ডোজ গ্রহন করেছেন। আর প্রথম ডোজ গ্রহনকারীদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছিলেন ৬১ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৪ জন। তবে বুষ্টার ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা ৩১ মে ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩ থেকে ৩১ আগষ্ট ২১ লাখ ৬২ হাজার ৯৯৩ জনে উন্নীত হয়েছে ।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলে করেনা আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় এখনো বরিশাল মহানগরীই শীর্ষে রয়েছে। গোটা বিভাগের মাত্র ৬% জনসংখ্যার এ নগরীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সরকারী হিসেবেই প্রায় ১৩ হাজার। মারা গছেন ১০৫ জন। আর মহানগরী নিয়ে বরিশাল জেলায় ২১ হাজার ৮৭৭ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ২৩৭জন। দ্বীপ জেলা ভোলাতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৮ হাজার ১১ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯২ জনের। পটুযাখালীতে মারা গেছেন ১১০ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৫৮। পিরোজপুরে ৬ হাজার ৪০৭ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ছোট জেলা ঝালকাঠীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৭১৮ । মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। আর বরগুনাতেও আক্রান্তের সংখ্যা এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৪০৭। মারা গেছেন ৭২ জন।
আর স্বাস্থ বিভাগের অনুমিত হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলে সর্বমোট করোনা আক্রান্ত ৫৩ হাজার ৯২৫ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫২ হাজার ৩৬০ জন।
এসব বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভবাগীয় পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খানের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, ভ্যাকসিন প্রয়োগের ব্যাপারে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ চলছে। আমরা চেষ্টা করছি ৫বছরের ঊর্ধ্বের শতভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভ্যাকসিন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ