মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আমেরিকার ‘কুখ্যাত বাজার’র তালিকায় স্থান পেয়েছে ভারতের ৫টি মার্কেট। অফিস অব দ্য ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) ৩৯টি অনলাইন বাজার এবং ৩৪টি সাধারণ বাজার চিহ্নিত করেছে, যেগুলো নকল এবং পাইরেটেড জিনিস বিক্রি করে। তালিকায় স্থান পাওয়া ৩৪টি সাধারণ বাজারের মধ্যে ৪টিই অবস্থিত ভারতে। ‘অনলাইন’ তালিকার মধ্যেও জায়গা পেয়েছে ১টি ভারতীয় বাজার।
‘২০২০ রিভিউ অব নটোরিয়াস মার্কেটস ফর কাউন্টারফিটিং অ্যান্ড পাইরেসি’ নামক একটি সমীক্ষা চালায় ইউএসটিআর। সেই তালিকায় স্থান পাওয়া ভারতীয় ৪টি সাধারণ বাজারগুলো হলো, কলকাতার খিদিরপুরের ‘ফ্যান্সি মার্কেট’, মুম্বাইয়ের ‘হিরা পান্না’ ও দিল্লির ‘পালিকা বাজার’ এবং ‘ট্যাঙ্ক রোড’ রয়েছে। এ ছাড়া অনলাইন বাজারের তালিকায় উঠে এসেছে ভারতের স্ন্যাপডিল। এই বাজারগুলো ব্যাপক হারে নকল এবং পাইরেটেড জিনিস বিক্রি করে। এই ধরনের নকল এবং পাইরেটেড সামগ্রী রফতানি হওয়ায় আমেরিকার বাজারে ছেয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউএসটিআর। ইউএসটিআর-এর সদস্য রবার্ট লিথিজার জানিয়েছেন, এই ধরনের সামগ্রী আমেরিকার বাজারে ছেয়ে যাওয়ায় সে দেশের বিভিন্ন সংস্থা এবং গ্রাহকদের বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। নজরদারির অভাবেই ফাঁকফোকর গলে এই ব্যবসার রমরমা বেড়েছে বলে দাবি লিথিজারের। তার মতে, নকল এবং পাইরেটেড জিনিসের রমরমা ঠেকাতে সরকারের পাশাপাশি যে সংস্থাগুলো এই সব সামগ্রী বিক্রি করছে তাদেরও নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত।
ইউএসটিআর জানিয়েছে, গত বছরে এই ধরনের সামগ্রী বিক্রির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে স্ন্যাপডিল-এর বিরুদ্ধে। যা খুবই উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন লিথিজার। ইউএসটিআর আরও জানিয়েছে, ২০১৮-য় যে সমীক্ষা করা হয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছে, ৩৭ শতাংশ গ্রাহক স্ন্যাপডিলের বিরুদ্ধে ভুয়ো জিনিস বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন। ২০১৯-এ স্ন্যাপডিল কর্তার বিরুদ্ধে ভারতে নকল দ্রব্য বিক্রির অভিযোগ ওঠে। ইউএসটিআর-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুম্বাইয়ের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা হীরা পান্না ইন্ডোর মার্কেটে দামি ব্র্যান্ডের নকল ঘড়ি, জুতো, পোশাক থেকে শুরু করে প্রসাধনী সামগ্রীতে ছেয়ে গিয়েছে। ওই রিপোর্টে খিদিরপুরের ফ্যান্সি মার্কেটের নামও এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়ছে, দিল্লির পালিকা বাজারও এই জাতীয় সামগ্রির জন্য বেশ পরিচিত। সস্তায় ট্রেন্ডি ঘড়ি, পোশাক মেলে এখানে। মূলত তরুণ প্রজন্মই এই বাজারের ক্রেতা। তা ছাড়া বিদেশিদের কাছেও এই বাজারের জনপ্রিয়তা রয়েছে। একই অভিযোগ রয়েছে ট্যাঙ্ক রোড মার্কেটের ক্ষেত্রেও। সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।