মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলায় কিছু সেনা সদস্য জড়িত থাকায় উদ্বেগে রয়েছে পেন্টাগন। এর আগে এমন অস্থিরতা দেখাই যায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্দরমহলে। অভিযোগ, বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ঘটিয়ে সিআইএ বারবার সরকার ফেলেছে, কিন্তু নিজ দেশেই সংসদ ভবনে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভক্তদের হামলায় যে কিছু সেনা সদস্য জড়িত সেই প্রমাণে উদ্বেগে পেন্টাগন। -ইউএস টুডে, সিএনবিসি, মিলিটারি টাইমস, এনবিসি
মার্কিন সেনার সদর ঘাঁটি পেন্টাগনজুড়ে তীব্র অস্থিরতা। আগেই গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের আগেই ফের গত ৬ জানুয়ারির মতো হিংসাত্মক পরিবেশ ঘটাতে মরিয়া ট্রাম্প ভক্তরা। গত ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হতে চলা বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসের জয়কে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিদানের পর্ব চলছিল সংসদ ভবন ক্যাপিটল হিলে। তখন হামলা চালায় পরাজিত রিপাবলিকান পার্টির ট্রাম্প সমর্থকরা। পুলিশের গুলিতে ৫ জন মারা যায়। এই ঘটনার পর থেকেই তীব্র অস্থিরতা মার্কিন রাজনীতিতে। অভিযোগ, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উস্কানিমূলক ভাষণের পরই হামলা হয়েছিল। আবারও হিংসাত্মক হামলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে ট্রাম্প ভক্তরা। এফবিআই এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এর মাঝে আরও নজিরবিহীনভাবে মুখ খুলেছে মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ কমান্ড। বলা হয়েছে সংবিধান রক্ষায় ও বিদ্রোহ দমনে প্রস্তুত থাকার কথা। বিবিসি জানাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী রাজনীতি এড়িয়ে চলে। এটাই চলছে দশকের পর দশক। তবে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল ভবনে হামলার সাথে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ও বর্তমান সেনা সদস্য জড়িত থাকার অভিযোগ উঠতে থাকায় সেনা নেতৃত্ব স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন।
মার্কিন অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা এফবিআই জানাচ্ছে, আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের আগেই ফের ট্রাম্প ভক্তরা হামলা চালাতে মরিয়া। তারা বিভিন্ন আদালতের দখল নিতে গোপনে বার্তা দিয়েছে। যেকোনও রকম পরিস্থিতি এড়াতে গোয়েন্দা সংস্থাটি জারি করেছে বিশেষ সতর্কবার্তা। মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ কমান্ডের বিবৃতি এমন প্রেক্ষাপটেই এসেছে । গত কয়েক দশক তো বটেই, দূর অতীতেও এমন ভূমিকায় দেখা যায়নি মার্কিন বাহিনিকে। চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। বিবিসি জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনীসহ মার্কিন সেনাবাহিনীর সব শাখার শীর্ষ কম্যান্ডাররা যৌথভাবে সব সেনা সদস্যদের প্রতি এক বার্তা পাঠিয়েছেন। যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি-সহ সাতজন শীর্ষ জেনারেল এবং একজন অ্যাডমিরালের সই করা এই বার্তা সেনার উদ্দেশ্যে দেওয়া হলেও মার্কিন সংবাদ মাধ্যম তা প্রকাশ করেছে। যৌথ সেনা কমান্ডের বার্তা, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির কোনও চেষ্টা আমাদের মূল্যবোধ, রীতি এবং শপথের খেলাপ এবং বেআইনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।