নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কষ্টের জয়েই ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদার আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু করলো ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবাহনী ১-০ গোলে হারায় অপেক্ষাকৃত কম শক্তির দল বাংলাদেশ পুলিশ এফসি’কে। বিজয়ী দলের হয়ে ম্যাচের অন্তিম মূহূর্তে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন হাইতির ফরেয়ার্ড বেলফোর্ট কারভেন্স। আবাহনীর এই জয়ে হতাশই হয়েছেন পুলিশের শ্রীলঙ্কান কোচ নিজাম পাকির আলী। কারণ ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও কাঙ্খিত ফল পায়নি তার দল। নিজ খেলোয়াড়ি জীবনে আবাহনীর হয়ে টানা দশ বছর খেলেছেন পাকির আলী। সেই আবাহনীর বিপক্ষে পুলিশের জয়ে দারুণ খুশি হতেন তিনি। ম্যাচ শেষে এমনটাই জানান এই লঙ্কান।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিলেও কাঙ্খিত গোলের দেখা পেতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে আবাহনীকে। ম্যাচে বেশি আক্রমণের পর একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে সমর্থকদের হতাশ করেছেন নাবীব নেওয়াজ জীবনরা। অন্যদিকে পুলিশের তরুণ ডিফেন্ডাররা দৃঢ়তার সঙ্গেই ফেরার প্রতিপক্ষের সব আক্রমণ। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের ২৪ মিনিটে বক্সের খুব কাছে ফ্রি কিক পায় আবাহনী। বেলফোর্টের শট ফেরাতে গেলে বল পুলিশের অধিনায়ক এবং আইভরিকোস্টের ডিফেন্ডার ল্যান্সিন তুরের হাতে লাগে। রেফারি হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজান। কিন্তু সেট পিস কাজে লাগাতে পারেনি আবাহনী। মাসিহ সাইঘানির শট পুলিশের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে চলে আসে। প্রথমার্ধ গোলশূণ্য শেষ হলে বিরতির পর শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। এসময় অনেকটা গোছানো ফুটবল খেলে তারা। কিন্তু পুলিশের জমাট রক্ষণদূর্গ ভাঙ্গতে পারছিলেন না বেলফোর্ট, ফ্রান্সিসকো, রাফায়েলরা। তাদেরকে আটকাতে পুলিশের রক্ষণভাগে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান জালাল মিয়া ও ফয়সালরা। পরে ছোট ছোট পাসে খেলার কৌশল পরিবর্তন করে দূর থেকে শট নিতে থাকে আবাহনী। তাতেও কাজ হচ্ছিল না। বেলফোর্ট ও মামুনুলদের জোরালো শটগুলো বারবার ফিরিয়ে দেন পুলিশের ঢিফেন্ডাররা। তবে আবাহনীর বিদেশিদের মধ্যে মাসিহ সাইঘানি কিছুটা উজ্জল ছিলেন। আবাহনীর আক্রমণগুলো ফিরিয়ে মাঝে মাঝেই পাল্টা আক্রমণ করে পাকির আলীর দল। কিন্তু তা গোল পাওয়ার মতো ছিল না। ম্যাচের ৮০ মিনিটে আবাহনীকে হতাশ করে পোস্ট। এসময় ওয়ালি ফয়সালের কর্ণারে নাসির উদ্দিন চৌধুরী ব্যাক হেড নিলে বল যায় সাইঘানির মাথার উপর। কিন্তু তার হেড পুলিশের গোলরক্ষক মো. নেহালের হাত থেকে পোস্টে লাগে। সামনে বল পড়লে সাইঘানি শট নিলে তা বাইরে চলে যায়। তবে পাঁচ মিনিট পর ভাগ্য খুলে আবাহনীর। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে রুবেল মিয়ার ক্রসে জীবনের পাঁ ছুয়ে বল যায় বারের খুব কাছে দাঁড়ানো বেলফোর্টের কাছে। তার নেয়া শট প্রথমে পুলিশের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লাগে। ফিরতি বলে ডান পায়ে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন হাইতিয়ান এ ফরেয়ার্ড (১-০)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।