মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রজাতন্ত্র দিবসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল স্বয়ং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি অবশ্য আসছেন না। কিন্তু এবার কাশ্মীর ইস্যুতেই ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলে দিল বরিস জনসনের সরকার। দীর্ঘদিনের নীতি মেনে কাশ্মীর নিয়ে লন্ডন নাক গলাবে না বললেও বর্তমানে উপত্যকার পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করলেন ব্রিটেনের মন্ত্রী। ‘কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে ঘণ্টাখানেকের বিতর্ক চলাকালীন একটি প্রশ্নের জবাবে ভারত সরকারকে কাশ্মীরে জমায়েত এবং যোগাযোগের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জি জানান এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল অ্যাডামস। জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েই ম‚লত বিতর্কসভায় আলোচনা করেন কনজারভেটিভ, লেবার পার্টির এমপিরা। অ্যাডামস জানান, ২০১৯ সালের অগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। তবে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যস্থতাকারীর ভ‚মিকা পালন করতে চায় না লন্ডন। বলেন, ‘এই সরকারের কাছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমি এটা জোর দিয়ে জানাতে চাই যে সরকারের নীতি অপরিবর্তিত। আমাদের মতে, পরিস্থিতির স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করতে হবে ভারত এবং পাকিস্তানকেই। যা কাশ্মীরের মানুষের ইচ্ছা মোতাবেক হবে।’ তিনি আরও জানান, ব্রিটেনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপ‚র্ণ হিসেবে বিবেচিত হয় জম্মু ও কাশ্মীর। তা নিয়ে খোলাখুলি ভারত এবং পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। সঙ্গে বলেন, ‘(জম্মু ও কাশ্মীরে) আটক এবং বিধিনিষেধ নিয়ে আমরা বারবার ভারত সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। গত মাসে পররাষ্ট্র সচিবের (ডমিনিক রাব) ভারত সফরের সময়ও (নয়াদিল্লির) প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।’ ব্রিটেনের মন্ত্রীর সেই মন্তব্যের পর তড়িঘড়ি বিবৃতি জারি করে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট প্রশাসনিক যে রদবদল হয়েছে, তার ফলে ‘সুশাসন এবং দ্রুত উন্নয়নের পথে হাঁটছে’ জম্মু ও কাশ্মীর। তা সেখানকার মানুষের সুরক্ষিত জীবনের প্রত্যাশাকে প‚রণ করেছে। কারণ তারা এখন বাইরের মদতপুষ্ট হিংসা এবং সন্ত্রাস থেকে সুরক্ষিত নিজেদের জীবন, জীবিকা এবং ভবিষ্যৎ করতে পারছেন। একইসঙ্গে হাইকমিশনের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনও বিদেশি সংসদে আলোচনা করা হোক, তা মোটেই পছন্দ করে না নয়াদিল্লি। হিন্দুস্তান টাইমস, এসএএম, পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।