বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আবারো বিতর্কে জড়ালেন আলোচিত সমালোচিত উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। শেষমেষ এই বিতর্ক গড়াল আদালত পর্যন্ত।
এবারে বদি আলোচনায় এলেন তাঁকে পিতা দাবী করা ছেলে মো. ইসহাকের করা মামলায়।ওই মামলায় আজ আদালতে জবানবন্দি দিচ্ছেন কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদির আইনজীবী কফিল উদ্দিন।
গত ১৩ ডিসেম্বর মো. ইসহাক টেকনাফের সহকারী বিচারক জিয়াউল হকের আদালতে একটি মামলা করেন। মামলায় বদিকে নিজের পিতা দাবি করেন তিনি।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্তেরবিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। বাদী ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করার আবেদন করেছেন।
ইসাহকের মা সুফিয়া খাতুন জানান, ১৯৯২ সালে ৫ এপ্রিল কালেমা পড়ে তাকে বিয়ে করেন আবদুর রহমান বদি। তাদের বিয়ে পড়ান আবদুর রহমান বদিদের পারিবারিক আবাসিক হোটেল নিরিবিলিতে তৎসময়ে কর্মরত মৌলভী আবদু সালাম। বিয়ের স্বাক্ষী ছিলেন হোটেলের দারোয়ান এখলাছ।
বিয়ের বিষয়টি পরে জেনে যায় তার পরিবারতখন তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই অবস্থায় বদির বোন পরিচয়ে জোর করে স্থানীয় রাজমিস্ত্রি নুরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয় তাকে।
মোহাম্মদ ইসহাক জানান, তার গর্ভধারিণী মায়ের কাছেই শুনেন, তার পিতা আবদুর রহমান বদি। মায়ের হাত ধরে অসংখ্যবার পিতার কাছে যান। পিতা আবদুর রহমান বদি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে দোয়া করেন। লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু পিতা আবদুর রহমান বদি তার রাজনৈতিক শত্রু ও সামাজিক অবস্থানসহ নানা সমীকরণ দেখিয়ে মায়ের কাছে সময় নেন। মাও স্বামীর (আবদুর রহমান বদি) কথার অবাধ্য হননি। তাই তার মা সুফিয়া খাতুন এতোদিন চুপ ছিলেন।
ইসহাক আরও জানান, তার বয়স বাড়ার কারণে পিতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। বিষয়টি নিয়ে মা-ছেলে আবদুর রহমান বদির ছোটবোন শামসুন নাহারের সাথে যোগাযোগ করেন। তারা ঘরোয়াভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। আবদুর রহমান বদি কৌশলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এখন তাদের সাথে তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই অনন্যোপায় হয়ে পিতৃত্বের দাবিতে আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন।
এবিষয়ে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি বলেন,উখিয়া -টেকনাফের অসংখ্য ছেলে- মেয়েকে পড়ােলখায় সহযোগিতা করে পিতার ভূমিকা পালন করছেন তিনি।তবে কেউ তাঁকে আইনগত পিতা দাবী করলে যে পিতার পরিচয়ে এতদিন বেড়ে উঠেছে তাকে আদালতের মাধ্যমে বাদ দিয়ে আসলে তাকে ছেলে মেনে নিতে কোন আপত্তি থাকবেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।