পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের বিষয়ে রিট করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের ডিভিশন বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য ওঠে। শুনানিকালে আদালত পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতি সম্পর্কে বলেন, এভাবে দুর্নীতি-অনিয়ম চলতে পারে না। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। সবকিছুর একটা জবাবদিহিতা থাকতে হবে।
রিটকারী আইনজীবী সায়েদুল হক সুমনের উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, আপনার মনোভাবের সঙ্গে আমরা শতভাগ একমত। তবে রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের ৮তলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগের বিষয়ে দুদকে একটি আবেদন করুন। দুদক যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা দেখব। এরপর আদালত রিট শুনানি আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেন। রিটের শুনানিকালে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বিষয়টির অবশ্যই অনুসন্ধান করা উচিৎ।
এর আগে গত ৪ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ঢাকায় ৮তলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এই বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার সম্পদের পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি। পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সাকুল্যে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এই সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন। জানা যায়, ১৯৯২ সালে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল ইসলাম। তখন এই পদটি তৃতীয় শ্রেণির মর্যাদার ছিল। ২০১২ সালে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক হন। ৩০ বছরের চাকরিজীবনে বেশির ভাগ সময় ঢাকা রেঞ্জে ছিলেন। তার বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়।
প্রতিবেদনটির বিষয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গত ৮ আগস্ট ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে আবেদন নিয়ে আসতে বলেন। গতকাল তিনি আবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে, বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনা দরকার। দুদকের তদন্তের জন্য এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মামলা। তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য সৎ পুলিশ অফিসার রয়েছেন। কিন্তু এই ওসির মতো যদি সবাই এত সম্পদ বানান, তাহলে সৎ অফিসার যারা, তারা মনে অনেক বেশি কষ্ট পাবেন। এর ফলে দেশে আর সৎ অফিসার নাও হতে পারেন। এভাবে অসৎ অফিসাররা যদি ট্রেন্ড তৈরি করেন, তাহলে সৎ অফিসার খুঁজে পাওয়া যাবে না। এজন্য বিষয়টি আদালতের নজরে নিয়ে এসেছি। এ সময় আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীকে ডাকেন। তখন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এটি খুবই হুমকিস্বরূপ ও হতাশাব্যঞ্জক। বিষয়টির অনুসন্ধান হওয়ার দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।