মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল মোদি সরকারকে। আপাতত কেন্দ্রকে কৃষি আইন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু মঙ্গলবার তিনটি কৃষি আইন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হলো সুপ্রিম কোর্টের তরফে।
আইন স্থগিতের পাশপাশি কৃষি আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই কৃষকদের কথা শোনার জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের কথা জানালো প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। চার সদস্যের ওই কমিটিতে আছেন, এইচএস মান, প্রমোদ কুমার যোশী, অশোক গুলাটি ও অনিল ধানওয়ান্ত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবড়ে বলেন, ‘তিনটি কৃষি আইনের বৈধতা নিয়ে আমরা যেমন উদ্বিগ্ন, তেমনি মানুষের জীবন বাঁচানোরও দায় রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের। তাই মানুষ ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য কোনও আইন স্থগিত রাখার ক্ষমতা আমাদের হাতে রয়েছে।’ আর সেই কারণেই কৃষকরা যাতে তাদের মনের কথা খুলে বলতে পারে, তার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হতে পারে। কিন্তু কৃষকদের নাছোড় মনোভাবের সামনে কমিটি গঠন কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনেই।
উল্লেখ্য, সোমবারই কেন্দ্রের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘কেন কেন্দ্রের তরফে কৃষকদের আবেদনে কোনও সাড়া দেওয়া হচ্ছে না? সরকারই তো ধরনার পরিবেশ তৈরি করেছে। এই আইনের প্রয়োগ রদ করা হলেই আমরা আলোচনার টেবিলে বসে কৃষকদের সমস্যার সমাধান খুঁজে বার করার নির্দেশ দেব। সরকার আইনের প্রয়োগ রদ করবে, নাকি আমরা স্থগিতাদেশ জারি করব?’ কেন্দ্রের প্রতিনিধি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে তার প্রশ্ন ছিল, ‘কোনও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হলে তার দায় কে নেবে? সংবিধানকে রক্ষা করার দায় আদালতের, এই পরিস্থিতিতে কোনও সমস্যা হলে দায়ী থাকব আমরা প্রত্যেকেই। আমরা চাই না, কোনও রক্তপাত হোক।’ এর পরেই প্রধান বিচারপতি প্রস্তাব দেন আদালতের তরফে একটি কমিটি গঠনের। এদিন সেই কমিটি গঠন করা হল।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠনের নেতা হান্নান মোল্লা বলেছিলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে রায়ের কোনও মিল থাকে না। এই মামলায় কী হয়, সেদিকেই আমাদের কড়া নজর থাকবে। রায়দান না-হওয়া পর্যন্ত কিছু বিশ্বাস করা উচিত হবে না। সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব। ১৫ তারিখের বৈঠকেও যাব।’ যদিও এদিনের রায়ের পর বেশ খুশি কৃষকরা। কার্যত জয়ের স্বাদ পাচ্ছেন তারা। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।