মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ ট্রাম্প সমর্থকদের নজিরবিহীন তাণ্ডবের ঘটনার নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই ঘটনায় বিশ্ব নেতাদের পাশাপাশি নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও গুলিতে এক নারীসহ অন্তত চারজন নিহত হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিস্মিত ও স্তব্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের রাজনৈতিক নেতারা। সেই সাথে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সাধারণ নাগরিকরাও।
জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ ফেসবুকে এক প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘‘কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি পোস্টে আমি তাকে মার্কিন গণতন্ত্র ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে অনুরোধ জানিয়ে কমেন্ট করেছিলাম। এরপর ৭/৮ হাজার ট্রাম্প সমর্থক আমাকে যাচ্ছেতাই ভাষায় আক্রমণ করে। নির্বাচনে হারলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি স্বাভাবিকভাবে ফলাফল মেনে নিতেন তাহলে তিনি যে পরিমাণ ভোট পেয়েছেন তাতে মার্কিন ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে তার নাম লেখা থাকতো। অথচ আজ যা ঘটলো তাতে মার্কিন ইতিহাসে তার নাম কোথায় লেখা থাকবে আমি সন্দিহান। প্রকৃতপক্ষে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের যে সৌন্দর্য পরিলক্ষিত হয়েছে তা ক্রমশ ম্রিয়মান হয়ে পড়ছে। এমনকি উন্নত গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের দেশগুলোতেও বর্তমানে গণতন্ত্রের চাদরে আবৃত স্বৈরতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, ফ্যাসিবাদ, চরমপন্থা ও প্রতিক্রিয়াশীলতার উদ্ভব হতে দেখছি। এর প্রভাব অবশ্যম্ভাবীভাবে পড়ছে অনুন্নত দেশগুলোতে।’’
জিল্লুর রহমান লিখেছেন, ‘‘এটা যদি কোন মুসলিম দেশ, বিশেষ করে ইরান বা তুরষ্ক হতো, তবে বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্রগুলো হুমড়িখেয়ে পড়তো। জাত গেল, গণতন্ত্র ধ্বংস হলো, বলে সোরগোল শুরু করতো। এখন আমেরিকার গণতন্ত্রের আসল রূপটি বের হয়ে এসেছে।’’
আরিফ হুসাইন লিখেছেন, ‘‘গণতন্ত্রের পিঠ খ্যাত দেশটির একজন প্রেসিডেন্ট যখন গণতন্ত্রীক উপায়ে নব-নির্বাচিত একজন প্রেসিডেন্টকে স্বীকৃতি দিতে এতো গড়াগড়ি খায়। তখন বুঝায় যায় বহিঃর্বিশ্বে কতটা হাইব্রিড গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে!’’
কুদ্দুস তালুকদার লিখেছেন, ‘‘এটা একটা সন্ত্রাসী হামলা। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমেরিকার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। দেশটি তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমেরিকা চাইলে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের হাতে তুলে দিতে পারে।’’
ফারুক আহমেদ লাবু লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, আমেরিকাকে, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে অনুসরন করতে হবে এবং শিখার বাকী আছে। শেষ পর্যন্ত সেটাই ফলো করছে আমেরিকা। সাবাস বাঙালী......করোনার মত ছড়িয়ে পড় বিশ্ব জুড়ে।’’
আরিফুর রহমান সুলতান লিখেছেন, ‘‘মানুষ রচিত কোন তন্ত্রমন্ত্র মানবজাতির জন্য সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে না। একমাত্র ইসলামী খিলাফত এই মানুষকে সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি নিরাপত্তা একটি সমাজ গঠন করতে পারে।’’
সাইদুল বাবু লিখেছেন, ‘‘প্রচলিত কথায় আছে -- অন্যের জন্য গর্ত খুড়লে সেখানে নিজের পরে/পরার সম্ভাবনা থাকে। বিশ্বের নানান রাষ্ট্র দমন-পীড়নের সর্মর্থন দেওয়ায় নিজেদের রাষ্ট্রেও তা উপলব্ধি করার একটা নির্দশন উক্ত ঘটনা।’’
জাকির আল ফারুকি লিখেছেন, ‘‘এই ঘটনা আমেরিকান গণতন্ত্রের দুর্বলতার প্রকাশ, আর দুর্বল গণতন্ত্র আমেরিকা কেই দুর্বল করছে। এটা আমেরিকাকে জিম্বাবুয়ে, উগান্ডা, বাংলাদেশের কাতারে নামিয়ে দিল।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।