নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুদিন আগের ঘটনা। হালনাগাদকৃত সবশেষ টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে দশে ঠেলে দিয়ে নয়ে উঠে এসেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু পরে জানা গেছে, ভুলক্রমে র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছিল আফগানরা। সেই ভুল শুধরে নিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। অর্থাৎ আগের নয় নম্বর অবস্থানে থাকছে বাংলাদেশ। আর র্যাঙ্কিংয়েই নেই এই সংস্করণের নবীনতম সদস্য আফগানিস্তান।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়েছিল ২০০০ সালের নভেম্বরে। তার প্রায় ১৮ বছর পর সাদা পোশাকে অভিষেক হয় আফগানিস্তানের, ২০১৮ সালের জুনে। দুদিন আগে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে দেখা গিয়েছিল, ৫৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুই ধাপ এগিয়ে নয় নম্বরে রয়েছে মাত্র ৪টি টেস্ট খেলা আফগানিস্তান। আর বাংলাদেশ ৫৫ রেটিং পয়েন্ট অবস্থান করছে দশে। কিন্তু পুরো বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। পরে বাংলাদেশের একজন গণমাধ্যমকর্মী ভুল ধরিয়ে দিলে বৃহস্পতিবার র্যাঙ্কিং সংশোধন করেছে আইসিসি।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে হালনাগাদকৃত বার্ষিক র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছিল আইসিসি। তখন তারা জানিয়েছিল, আফগানিস্তান র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পাওয়ার মতো যথেষ্ট টেস্ট খেলেনি। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত আর কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলেনি দলটি। বাংলাদেশও আর সাদা পোশাকে মাঠে নামেনি। তাই মুমিনুল হক-মুশফিকুর রহিমদের র্যাঙ্কিংয়ে আফগানদের নিচে নেমে যাওয়াটা ছিল বিস্ময়েরই।
তবে আইসিসি ভুল শুধরে নিলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ কোথায়? নতুন করে যে নয় দলের র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতেই। তাছাড়া, যে আফগানিস্তানের নিচে নেমে যাওয়া নিয়ে এত শোরগোল উঠেছিল, তারা খেলেছে মোটে চারটি টেস্ট। সমান দুটি করে জয় ও হারের স্বাদ নিয়েছে দলটি। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে একমাত্র লড়াইয়ে আফগানরা জিতেছিল বিশাল ব্যবধানে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশ হেরেছিল ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।
র্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম ওয়েস্ট ইন্ডিজের (৭৭) সঙ্গে ২২ রেটিং পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ (৫৫)। ১১৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে নিউজিল্যান্ড যথারীতি শীর্ষে। আগের র্যাঙ্কিংয়েও নয়ে ছিল বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে দশে। তার পরেই ছিল আফগানিস্তান। ২০১৮ বিশ্বকাপের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদশ যত টেস্ট খেলেছে, একটা বাদে হেরেছে সব কটিতে। হারা টেস্টগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই হার বাদে প্রতিটায় হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে।
২০২০ সালে বেশ অনেকগুলো টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু করোনাভাইরাস সে সুযোগ দেয়নি। এই মহামারির কারণে গত মার্চ মাসের পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দ‚রে আছেন সাকিব-তামিমরা। লকডাউনের পর প্রায় সব দল মাঠে ফিরলেও বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত মাঠে নামেনি। তবে বছরের শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।