মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের সঙ্গে আন্দোলনরত কৃষকদের কয়েক দফা বৈঠকেও সমাধান মিলেনি। সংশোধন নয়, আইন প্রত্যাহারে নিজেদের অনড় অবস্থানে এখনও কৃষক নেতারা। তাই কোন উপায় না দেখে কৃষকদের সঙ্গে অষ্টম রাউন্ডের বৈঠকে মিলিত হচ্ছে মোদি সরকার। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকালে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
তিন কৃষি আইনে সরকার কি ধরনের পরিবর্তন আনতে সম্মত, এমন কথা তোলামাত্রই চড়াও হয়েছেন দেশটির কৃষক নেতারা। তারা বলছেন, কৃষি আইনে সংশোধনের প্রস্তাব তারা আগেই খারিজ করেছেন। সমাধান একটাই, আর তা হল আইন প্রত্যাহার।
এর আগের বৈঠকে ভারতের মন্ত্রীরা জানতে চেয়েছিলেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার ছাড়া আর কি কোনও বিকল্প নেই? কৃষক নেতারা জবাব দেন, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিকল্প একটাই। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার। এই জবাবের পরে ৪০ জন কৃষক নেতা একসঙ্গে টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান।
এর আগে ষষ্ঠ রাউন্ডের বৈঠকে মোদি সরকারের মন্ত্রীরা কৃষক নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করেছিলেন। সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসলেও কৃষক নেতারা সরকারের চা-পানি খাননি। অনেকটা নাখোশের মুখে এদিন চারটির মধ্যে দুটি দাবি মেনে নেয়া হয়েছিল।
সরকারের আশা ছিল, এর বিনিময়ে কৃষক নেতারা তাদের প্রধান দুই দাবি, কৃষি আইন প্রত্যাহার ও ফসলের দাম বা এমএসপি-র আইনি গ্যারান্টি নিয়ে নরম সুর নেবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আইন প্রত্যাহার না করার বিষয়ে অনড় দেখে কৃষক নেতারা আরও সুর কঠোর অবস্থানে চলে যান।
এমনকি বৈঠকের বিরতিতে মন্ত্রীদের তারা বলে দেন, ‘আপনারা সরকারি খাবার খান। আমরা নিজেদের লঙ্গরের খাবার খাব।’ বিজ্ঞান ভবনের মেঝেতে বসে গুরুদ্বারের লঙ্গর থেকে আসা ডাল-রুটি খেয়েছেন কৃষক নেতারা। আন্দোলনে মৃত কৃষকদের স্মরণে বৈঠকের শুরুতে দু’মিনিট নীরবতা পালন করেন তারা। মন্ত্রী-আমলারাও তাতে যোগ দেন।
ফলে সরকার-কৃষক সংগঠনগুলোর সপ্তম রাউন্ডের বৈঠকের পরেও সমাধানসূত্র বের হয়নি। ঠিক হয়েছে, আগামী ৮ জানুয়ারি অষ্টম রাউন্ডের বৈঠক হবে। বৈঠকের পর কৃষক সভার নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, ‘আমরা আজ এককাট্টা হয়ে সরকারকে বুঝিয়ে দিয়েছি, কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কৃষকরা দিল্লির সীমানা থেকে বাড়ি ফিরবেন না। আর বৈঠকে ৪০টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা এলেও ৪৫০টির বেশি সংগঠন আন্দোলনে রয়েছে।’
উল্লেখ্য, তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে হাজার হাজার কৃষক গত ৩৮ দিন ধরে শীত, বৃষ্টি মাথায় করে দিল্লির সীমানায় আন্দোলন করছে। এ পর্যন্ত ‘প্রায় ৬০ জন কৃষক মারা গেছেন। সূত্র : আনন্দবাজার, এনডিটিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।