মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে টাম্প সমর্থকদের হামলার সময় সেখানে ভারতীয় পতাকা দেখা গেছে। সে সময়কার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একদল সমর্থক নিরাপত্তা বাহিনীকে পাশ কাটিয়েই ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত মার্কিন আইন পরিষদ ক্যাপিটল ভবনে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। ট্রাম্পের হাজারো সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে ঢুকে পড়ে। এ সময় তাদের হাতে ছিল ট্রাম্পের পতাকা ও আমেরিকার পতাকা। এসব পতাকার ভিড়ে ভারতেরও একটি পতাকা দৃশ্যমান হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, লাল-নীল বেশকিছু পতাকার মাঝে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ভারতীয় তেরঙ্গা পতাকা উড়াচ্ছেন। সাংবাদিক আলেজান্দ্রো আলভারেজ ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেছেন।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অনেক ভারতীয় প্রশ্ন তুলেছেন, মার্কিন ক্যাপিটল বিক্ষোভে ভারতীয় পতাকাটি কেন গেল? ভারতীয়দের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভপ্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন, আমেরিকার বিক্ষোভে ভারতের তেরঙা কেন দেখা যাচ্ছে তা নিয়ে। টুইটার পোস্টে বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীরও প্রশ্ন, ‘ওখানে ভারতীয় পতাকা কেন? এটা সেই যুদ্ধ যেখানে আমাদের অংশগ্রহণের দরকার নেই।’ কমেডিয়ান বীর দাস আবার মজার ছলে বলেছেন, পতাকাধারী বোধহয় এটাকে ক্রিকেট ম্যাচ ভেবেছেন। ট্রাম্পের সমর্থনে মোদির দেয়া স্লোগানের উল্লেখ করে অনেকে আবার কটাক্ষ করেছেন, ওই ব্যক্তি হয়ত এবারও ট্রাম্পের সরকার চেয়েছিলেন। রাজ্যসভার সদস্য প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও ভারতীয় পতাকার উপস্থিতির সমালোচনা করে লিখেছিলেন, ‘আমাদের দেশের পতাকা অন্য দেশে এই জাতীয় সহিংসতা ও অপরাধমূলক কাজে অংশ নিতে ব্যবহার করবেন না।’
ক্যাপিটলে হামলাকারী ট্রাম্প সমর্থদের জমায়েতে ভারতের জাতীয় পতাকার উপস্থিতির ‘প্রভাব’ নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে পড়তে পারে বলে মনে করেন ভারতীয় কূটনীতিকদের একাংশ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকা সফরে গিয়ে হিউস্টনে অনাবাসী ভারতীয়দের ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তার মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘অব কি বার, ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান। সে সময়ও আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মোদির ‘অংশগ্রহণ’ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সূত্র: এনডিটিভি, এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।