পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৃহত্তর নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কিছু চামচা আছে, যারা বলেন অমুক নেতা, তমুক নেতার নেতৃত্বে বিএনপির দূর্গ ভেঙেছে। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বৃহত্তর নোয়াখালীতে তিন চারটা আসন ছাড়া বাকী আসনে আমাদের এমপিরা পালানোর জন্য দরজা খুঁজে পাবে না। এটাই সত্য কথা। আমি সাহস করে কথা বলছি। কথাগুলো বলেছেন, বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জা।
গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরভবন চত্বরে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ইশতেহার ঘোষণাকালে আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এটি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়।
আবদুল কাদের মির্জা স্থানীয় কিছু নেতার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, নোয়াখালীর লোকজন বলে, শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এটা সত্য, কিন্তু আপনাদের জনপ্রিয়তা বাড়েনি। আপনারা প্রতিদিন ভোট কমান। মাইজদীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় জনসভা করা, মিছিল করা কোন ব্যাপার নয়। আমাকে টাকা দিলে, গাড়ি দিলে আমিও অনেক মানুষ জড়ো করতে পারবো। বিশাল জনসভা করতে পারবো। না হলে রাজনীতি থেকে বিদায় নিব। টাকা হলে রাজধানী ঢাকার বস্তি থেকে লোক পাওয়া যায় বলে তিনি উদাহরণ দেন।
আবদুল কাদের মির্জা উত্তেজিত কন্ঠে বলেন, ফেনীর ফুলগাজি উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হককে যারা প্রকাশ্যে দিবালোকে পুড়িয়ে হত্যা করেন, তারা হচ্ছেন নেতা। একরামের কী অপরাধ ছিল। প্রথমে গুলি করে ও পরে আগুনে পুড়িয়ে একরামুলকে হত্যা করা হলো। তিনি বলেন, টেন্ডারবাজি করে যারা কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেন, পুলিশে, প্রাইমারী শিক্ষকদের চাকুরি দিয়ে যারা পাঁচ লাখ টাকা নেন, গরিব পিয়নের চাকরি দিয়ে ৩ লাখ টাকা নেন, এখন তারা হচ্ছে নেতা।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে এখনও অনুমোদন পায়নি। উক্ত কমিটির কয়েকজনের নাম ধরে সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালীতে নেতা হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বিএনপির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও জামায়াত নেতা অধ্যাপক আবু নাছের।
আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্য ভাইরাল হলে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সংবাদপত্রে প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন যে, শেখ হাসিনার জনপিয়তার কারণে বৃহত্তর নোয়াখালীতে বিএনপির দূর্গ ভেঙে আওয়ামী লীগের জনপিয়তা বেড়েছে। কিন্তু কোনও কোন গণমাধ্যমে সেগুলো উল্লেখ না করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্যের খন্ডিত অংশ প্রচার করেছে। আমি একমাত্র বৃহত্তর নোয়াখালীর আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ে নানা অনিয়মের কথা বলেছিলাম। জাতীয় ইস্যুতে আমি কোনও বক্তব্য রাখিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া : কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্যে বিব্রত জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ইনকিলাবকে বলেন, আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দলীয় ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করছে। তারা বলেন, যে কোন অভিযোগ দলীয় ফোরামে উত্থাপন করার নিয়ম থাকলেও আবদুল কাদের মির্জা সেটা না করে মূলতঃ আওয়ামী লীগের ক্ষতি করেছেন। এতে করে জেলা আওয়ামী লীগ বিব্রতবোধ করছে।
বিএনপির সন্তোষ প্রকাশ : আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্যের প্রশংসা করেছে স্থানীয় বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্য নিজেদের ফেসবুকে শেয়ার করে তার প্রশংসায় মেতে উঠেছে। মাঠ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, আবদুল কাদের মির্জা সঠিক সময়ে সঠিক কথাগুলো তুলে ধরেছেন। সরকার দলীয় প্রভাবশালীদের কর্মকান্ডের ফিরিস্তি জনসন্মুখে তুলে ধরে তিনি সাহসের পরিচয় দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।