Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সাবেক এমপি বকুলের ছেলের বিরুদ্ধে ‘লাভ জিহাদের প্রমাণ পায়নি’ ভারতীয় পুলিশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ২:৩১ পিএম

‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে ভারতে প্রতিদিনই নানা ঘটনা। এর অধিকাংশই গণমাধ্যমে আসে না। তবে মাঝে মধ্যে আলোচিত বিষয়গুলো স্থান পায় সংবাদ মাধ্যমে।

এদিকে বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের ছেলের বিরুদ্ধে ভারতের চেন্নাইয়ের এক ব্যবসায়ী ‘লাভ জিহাদের’ যে অভিযোগে মামলা করেছিলেন তার সত্যতা খুঁজে পায়নি দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।

গত মে মাসে ওই ব্যবসায়ী দাবি করেন, তার মেয়েকে ‘লন্ডনে অপহরণ করে ধর্মান্তরের’ মাধ্যমে বিয়ে করেছেন বকুলের ছেলে নাফিজ। এই ঘটনায় ভারতের কট্টর হিন্দুরা মেয়ের বাবার সঙ্গে সুর মিলিয়ে ‘লাভ জিহাদের’ অভিযোগ তোলেন।

কিন্তু গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বুধবার জানিয়েছে, এই ঘটনায় লাভ জিহাদের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

চেন্নাইয়ের ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে বকুলের ছেলের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয় গত মে মাসে।

বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিভাজনের অংশ হওয়ায় তামিল নাড়ু পুলিশ এনআইএ-কে তদন্তের ভার দেয়। এরপর ভারতীয় কর্মকর্তারা মেয়েটির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন। তিনি জানিয়ে দেন, নিজের ইচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে বাংলাদেশি মুসলিম যুবককে বিয়ে করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনআইয়ের এক অফিসার টাইমসকে বলেছেন, ‘সুখে আছেন বলে মেয়েটি আমাদের জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তাকে কোনো ধরনের চাপ দেয়া হয়নি।’

তদন্ত শেষ হয়েছে জানিয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, খুব দ্রুত আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

বকুল নরসিংদী থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন তিনবার।

ছেলের নামে মামলা হওয়ার পর বকুল বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে জানান, ‘‘আমার ছেলে যুক্তরাজ্যে ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল)’ এ পড়ত। সেখানে কৃতিত্বের সঙ্গে মাস্টার্স পাস করেছে। আমার ছেলে ও আমার পুত্রবধূ একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। তারা বুঝে-শুনে বিয়ে করেছে। ব্রিটেনের বার্মিংহাম পুলিশ এই বিষয়টি জানে।”

‘মেয়েটি (পুত্রবধূ) ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিসটিংশনসহ মাস্টার্স পাস করেছে। সে কারও প্ররোচনা ব্যতীত সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় সুস্থ মস্তিষ্কে আমার ছেলেকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে উভয়ের ইচ্ছায় তাদের বিবাহ হয়েছে।’

বিয়ের পর পুত্রবধূর পরিবারের সদস্যরা নিমন্ত্রণ রক্ষায় ঢাকায় এসেছিলেন বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ