মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে এবার আরেক মহামারির দেখা মিলেছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের পর এবার দেশটির পাঁচটি রাজ্যে বার্ড ফ্লু’র প্রকোপ দেখা দিয়েছে হিমাচলে মুরগি, মাছ, ডিম বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে।
গত সোমবার (৪ জানুয়ারি) কেরালায় সর্বশেষ বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মুরগি, হাঁস বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সংক্রমণ যাতে মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে না পড়ে সে দিকে নজর রখছে রাজ্য সরকারগুলি।
গত সপ্তাহে প্রথম বার্ড ফ্লু ধরা পড়ে হিমাচলের পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে। রাজ্য সরকারের হিসেবে প্রায় এক হাজার ৭০০ পাখির মৃত্যু হয়েছে কেবলমাত্র কাংড়া অঞ্চলে। এর পরেই রাজ্যে মাছ, মুরগি এবং হাঁস বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শুধু তাই নয়, মুরগির ডিম বিক্রিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মৃত পাখির দেহ পাঠানো হয়েছে বরেলির পশুপালন কেন্দ্রে। সেখানে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করেও প্রতিটি পাখির শরীরে বার্ড ফ্লুয়ের জীবাণু মিলেছে।
বার্ড ফ্লু মূলত পাখিদের একধরনের জ্বর। তবে এর জন্য এক ধরনের ভাইরাস দায়ী। যার নাম এইচ৫এন১। ভাইরাসটি দ্বারা আক্রান্ত হাঁস-মুরগি থেকেই মানবদেহে এটি প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে।
অন্যদিকে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় হাঁসের শরীরে বার্ড ফ্লু’র জীবাণু পাওয়া গেছে। রাজস্থান সরকার হাঁস মালিকদের হাঁস মেরে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার কিছুদিনের মধ্যেই ক্ষতিপূরণ দিবে। তবে হাঁস মালিকরা বলছেন, আশ্বাস মিললেও অনেক সময় ঠিক সময়ে ক্ষতি পূরণ পাওয়া যায় না। একই সমস্যায় পড়েছেন মুরগি ব্যবসায়ীরা। করোনার জন্য এমনিই ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের অবস্থা খারাপ। লকডাউনের পর তারা ফের দাঁড়াতে চেয়েছিলেন কিন্তু বার্ড ফ্লু’র জন্য তাদের মাথায় হাত।
হিমাচলের এক হাঁস ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, করোনার সময় প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভেবেছিলাম ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে। অক্টোবর থেকে ধীরে ধীরে ব্যবসা বাড়ছিল। আবার এখন যদি সব হাঁস মারতে হয় তাহলে অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হবে। তার খামারে ১০টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মড়কের ভয়ে তাকে হাঁস মারতেই হবে।
স্থানীয় বাজারেও বার্ড ফ্লুর প্রভাব পড়েছে। হরিয়ানা থেকে প্রচুর মুরগি আসে দিল্লিতে। দিল্লির এক মাংস ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মানুষ মুরগির মাংস কিনতে ভয় পাচ্ছে। এভাবে চললে মাংসের দাম অনেক নিচে নামবে। কেনা দামে বিক্রি করতে হবে মুরগির মাংস।
এখনো বার্ড ফ্লুর প্রভাব মানুষের শরীরে ধরা পড়েনি। তবে কয়েক বছর আগেও এ ঘটনা ঘটেছিল। তাই সরকার আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে চাইছে। হরিয়ানির এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনার জন্য এমনিই অবস্থা খারাপ। হাসপাতালগুলোয় আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করায় বেডের সংখ্যা কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত রোগী আসা শুরু করলে তাদের চিকিৎসা দেওয়াই মুশকিল হবে। সূত্র : ডয়চে ভেলে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।