Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৭৩’র কলঙ্কিত রেকর্ডকে ভেঙে ফেলেছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের কলংকিত রেকর্ডকে ভেঙ্গে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সোয়া এক বছরের মাথায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জনগণের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি। তাদেরকে সন্ত্রাস-ভোট ডাকাতি-কারচুপির আশ্রয় নিতে হয়েছিল। ৩০০ আসনের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেরা নিয়েছিল ২৯৩ আসন, মাত্র ৭টি আসন বিরোধী দলকে দেয়া হয়। দুর্নীতি, সন্ত্রাস গণতন্ত্র হত্যা, ভোটাধিকার হরণ, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে নতুন নয়। আর ৫ জানুয়ারি আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে গণহত্যা, খুন, গুম,নির্যাতন চালিয়েও ন্যূনতম ভোট আদায় করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। সারাদেশে নির্বাচন কেন্দ্রগুলো ছিল একদম ফাঁকা। কোথাও কোথাও ভোটারের বদলে ভোট কেন্দ্রে চত্ষ্পুদ প্রাণীর বিচরণ দেখেছে বিশ্ববাসী। গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইতিহাস বলে, আওয়ামী লীগ কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তা ছিল একতরফা, বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতা, নিশিরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, জালভোট প্রদান, ভোট ডাকাতি, মৃত ব্যক্তির ভোট প্রদান, গায়েবী ভোট, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়াসহ অভিনব ভোট সন্ত্রাসের বহু বিচিত্র দৃশ্য।

তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন প্রায় সকল রাজনৈতিক দল বর্জন করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা ও তাঁর দলকে ক্ষমতায় রাখার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত দৃশ্যমান হয়। তৎকালীন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদকে শেখ হাসিনার পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কি হুমকি দিয়েছিলেন তা এরশাদ নিজেই গণমাধ্যমে বলেছিলেন। তারপরেও জাতীয় পার্টি তাদের সকল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার পরেও বন্দুকের নলের মুখে ভয় দেখিয়ে কয়েকজনকে বিজয়ী ঘোষণা করে গৃহপালিত বিরোধী দলের আসনে বসানো হয়। নির্বাচনের আগেই সরকার গঠন করার মতো ১৫৩ জনকে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় এমপি হিসেবে ঘোষণা করে। বাকী আসনগুলোতে শতকরা ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। জনগণ সেই নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছিল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, গত একযুগ আওয়ামীলীগ জোর করে ক্ষমতায় বসে থেকে প্রতিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির উৎসব করে চলেছে। কেবল জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন থেকে শুরু করে পেশাজীবি সংগঠনের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা ভোটারবিহীন নির্বাচনের ভাইরাস সংক্রমিত করেছে। এখন ভোট মানে প্রহসন। সরকার বিরোধী দলগুলোর জন্য গ্রেফতার মামলা হামলা সন্ত্রাসের হিম আতংক। আওয়ামী লীগ এখন ভোট ডাকাতলীগে পরিণত হয়ে বাংলাদেশের অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থাকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ