Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন নতুন শ্রমবাজার উন্মোচন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সিন্ডিকেট

মতবিনিময় সভায় রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:২২ পিএম

নতুন নতুন শ্রমবাজার উন্মোচনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সিন্ডিকেট চক্র। সিন্ডিকেটের দরুণ অভিবাসন ব্যয় দিন দিন বাড়ছে। সিন্ডিকেটের কারণে বৈধভাবে বিদেশে যেতে না পেরে অনেকেই অবৈধ পন্থায় গিয়ে মানব পাচারের কবলে পড়ছে। সিন্ডিকেটের কারণে জনশক্তি রফতানি হ্রাস পাওয়ায় রেমিট্যান্স খাতে ধস নেমে আসতে পারে। করোনা মহামারি পরবর্তী বহির্বিশ্বের শ্রমবাজারে কোনো সিন্ডিকেটের অপ তৎপরতা বরদাশত করা হবে না। আজ সোমবার রাতে নয়া পল্টনস্থ একটি হোটেলে রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদ আয়োজিত মালয়েশিয়া ও দুবাই শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট প্রতিরোধ ও বায়রা সদস্যদের ভোটাধিকার আদায়ে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব আরিফুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বায়রার সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ সচেতন সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। যেসব বায়রা সদস্য বক্তব্য রাখেন, তারা হচ্ছে, সংগঠনের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, ইনাম আব্দুল্লাহ মহসিন, কাজী আব্দুর রহিম, মকবুল আহমেদ, আহমেদ উল্লাহ বাচ্চু, মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, শাহারিয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান দিদার, জাহিদুল ইসলাম শান্ত কুমার শাহা, ফিরোজ আহম্মদ ও ইকবাল শাহীন।

মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি কর্মীর ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেটের কারণে শ্রমবাজার চালু হচ্ছে না। জনশক্তি খাতে সবচেয়ে বড় অভিশাপ হচ্ছে সিন্ডিকেট। নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৭ সালের ৮ মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৬৯ কর্মী প্রেরণ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দশ সিন্ডিকেট চক্র। নেপালের ১৬ রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাচ্ছে। মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে কর্মী প্রেরণের সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে সুযোগ দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আসন্ন বায়রার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সকল সদস্যদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বায়রা প্রতিষ্ঠায় সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে এম টিপু সুলতান বলেন, অভিবাসন ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে সিন্ডিকেটের অপ তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। সিন্ডিকেটের অপ তৎপরতায় প্রত্যেক উপজেলা থেকে এক হাজার কর্মীকে বিদেশে প্রেরণের প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সভাপতি বলেন, বিশ্বের কোন দেশে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলে সেখানেই সিন্ডিকেট করার অপচেষ্টা শুরু হয়। এসব কারণেও নতুন শ্রমবাজার ওপেন হচ্ছে না। জনশক্তি রফতানির খাতকে সম্প্রসারিত এবং রেমিট্যান্সের ঊর্ধ্বগতি ধরে রাখতে সিন্ডিকেট বিহীন ডিজিটালাইজড করে কর্মী প্রেরণ নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সভাপতি এম টিপু সুলতান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিন্ডিকেট

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ