বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের সুনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে (বিনা) এক আদেশে ৩৫জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলীর আদেশ হয়েছে। এনিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের ভেতরে-বাইরে।
এর আগে বিগত বছরের ২৪ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক এক আদেশে বিনার ৩৫জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলির আদেশ দেন।
বিনার বিজ্ঞানী সমিতি সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ হারুন অর রশিদ দাবি করেন, হঠাৎ এ ধরনের বদলির আদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দেশের কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইতিমধ্যে বিনার বিজ্ঞানী সমিতির পক্ষ থেকে বদলি আদেশে কিছু অসঙ্গতি ও পুনবিবেচনার দাবি জানিয়ে রেজুলেশন আকারে মহাপরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৩অক্টোবর বর্তমান ডিজি বিনার বিজ্ঞানী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে এবং তাঁর সহধর্মীনি শামসুন্নাহার বেগম যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন। ওই নির্বাচনে তারা বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হন। মূলত ওই ক্ষোভের কারণেই এ বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
তবে এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। তিনি বলেন, ইনটেনশালি কারো কারো অভিযোগ থাকতে পারে। তবে বদলির আদেশে কোন ক্ষোভ বা অনিয়ম নেই। তিনি দাবি করেন, বদলিকৃত ৩৫ জনের মধ্যে এক যুগের অধিক সময় ধরে বাইরে থাকা ৯ জনকে হেড অফিসে আনা হয়েছে। বাকি ২৬ জনের মধ্যে ২২জন বিজ্ঞানীকে ইন্টারনাল বদলি করা হয়েছে এবং বাকি আরো ৪ জনের মধ্যে ৩জন চাকরি জীবনে কোন দিন বদলি হয়নি এবং মাত্র একজনকে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে দ্বিতীয় বার বদলি করা হয়েছে। ডিজি আরো বলেন, সারাদেশে বিনার মোট ১৩টি উপ-কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে এসব বদলি করা হয়। এতে ইনটেনশালি মাত্র দুই তিনজন নাখোশ হতে পারে। তবে এ বদলির আদেশ স্বাভাবিক বদলি কার্যক্রম মাত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।