মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যে আজ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। সরকার এটিকে করোনভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘মূল মুহূর্ত’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। এ জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রায় ৫৩ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রাথমিকভাবে যুক্তরাজ্যের ৬ টি হাসপাতালে এই ভ্যাকিসন দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অক্সফোর্ড, সাসেক্স, ল্যাঙ্কাশায়ার, ওয়ারউইকশায়ারের একটি করে ও লন্ডনের দু’টি হাসপাতাল রয়েছে। এরপরে সারা দেশের ৭০০ টিরও বেশি পরিষেবা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সরকার আশা করে যে, তারা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সবার চাহিদা পূরণ করতে পারবে। প্রশাসনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, প্রতি সপ্তাহে অন্তত ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করার। এ বিষয়ে বৃটিশ স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, ‘এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এটি আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং আমি আশা করি এটি সবার কাছে নতুন প্রত্যাশা প্রদান করবে যে, এই মহামারীটি শেষ হওয়ার পথে রয়েছে।’
২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। পরে ভারতও ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দেয়। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, ভ্যাকসিনটি অনুমোদন পাওয়ায় আমি আশাবাদী যে, বসন্তের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের এ কর্মসূচির আওতায় আনা যাবে। তিনি জানান, ফাইজারের ভ্যাকসিনের চেয়ে সহজে সংরক্ষণ করা যাবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। ফলে জিপিএস ও কেয়ার হোমগুলো ভ্যাকসিন প্রয়োগের ভালো সুযোগ পাবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পাসকেল সোরিয়ট বলেছেন, আমরা মনে করি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়ানোর উইনিং ফর্মুলা পেয়ে গেছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রকদের বেঁধে দেয়া মান বজায় রাখতে পেরেছি আমরা।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনটি ২০২০ সালের শুরুর দিকে ডিজাইন করা হয়েছিল। এপ্রিলে প্রথম এটি স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর পরীক্ষা করা হয়। পরে হাজার হাজার মানুষের ওপর ব্যাপক আকারের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়। ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন যেমন ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, এটিতে তা নেই। সাধারণ ফ্রিজেই এটি সংরক্ষণ করা সম্ভব। সূত্র: স্কাই নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।