পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে তোলা জোট কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় করোনার টিকার সবচেয়ে বড় চালানটি পেল বাংলাদেশ। একই সঙ্গে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৮০ লাখ টিকা তুলে দেয়া হয়েছে সরকারের হাতে। এই টিকা দিয়েছে জাপান ও যুক্তরাজ্য।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে এই টিকা হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে জাপান দিয়েছে ৪০ লাখ ৮০০টি আর যুক্তরাজ্য দিয়েছে ৪০ লাখ ৫৫ হাজারটি। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট উইনিংটন গিবসন উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, জাপান আমাদের সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই ভীষণ আস্থাভাজন বন্ধুরাষ্ট্র। অন্যদিকে ব্রিটিশ সরকারও দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের পাশেই থাকে। দেশ দুটি থেকে পাওয়া এই টিকাগুলো করোনা মোকাবিলায় নিঃসন্দেহে আমাদের আরও শক্তিশালী করবে।
বাংলাদেশ করোনার টিকা শুরুই করে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে। সে টিকা কেনা হয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে। সেখান থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তি হলেও ৭০ লাখ পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় সিরাম আর টিকা দিতে পারেনি।
পরে টিকার জন্য চীনের সঙ্গে চুক্তি করে ঢাকা। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা জোট কোভ্যাক্স থেকেও টিকা পেতে শুরু করে।
ভারত সরকার টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলেও সিরাম থেকে নতুন করে আর টিকা কেনার কোনো উদ্যোগ বা চিন্তা নেই সরকারের। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এখন হাতে আমাদের সাড়ে চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। এ মাসেই ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই বুস্টার ডোজ দেয়ার কাজও শুরু করা হবে।
কাজেই টিকা প্রদানে বাংলাদেশ বহু দেশের তুলনায় ভালো অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনায় এই মুহ‚র্তে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার উভয়ই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে দেশে এখন পর্যন্ত তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, আশার কথা, তিনজনকেই আমরা কোয়ারেন্টিন করতে সক্ষম হয়েছি। তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন ও এখন ভালো আছেন। তবে দেশের মানুষকে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে, মাস্ক পরতে হবে এবং টিকা নিতে আগ্রহী হতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে যেতে পারব।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এ সময় ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ শীমা সেন, সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়াও উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।