মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে ছাড়পত্র পেয়ে গেল দুটি করোনার ভ্যাকসিন। সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির সুপারিশ মেনে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়ে দিল ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিজিজিআই)। সেই সঙ্গে জাইদাস ক্যাডিলা হেলথকেয়ারের তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালেও দেয়া হল অনুমতি।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’, এবং ফাইজারের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন ভারতে জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছিল। নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ, শুক্রবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে বৈঠকে বসেছিল সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি। বিস্তারিত আলোচনা এবং যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখার পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহারে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই কমিটি। নিজেদের সুপারিশ ডিজিজিআই ভি জি সোমানির কাছে পাঠিয়ে দেয় তারা। জানানো হয় কোভিশিল্ড করোনা রুখতে ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ কার্যকর। একইভাবে শনিবার ফের বৈঠকে বসেছিলেন ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকেও ছাড়পত্র দেয়ার সুপারিশ করে সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি। কমিটির সদস্যরা জানান, জরুরি ভিত্তিতে কোভিডের সম্ভাব্য টিকা হিসেবে কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির এই জোড়া সুপারিশেই ছাড়পত্র দিল ডিজিজিআই। রোববার সাংবাদিক সম্মেলন করে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া সরকারিভাবে এই দুটি ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেয়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন। সেই সঙ্গে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে যেসব গুজব রটেছিল, তাও পুরোপুরি খারিজ করে দিলেন ডিজিজিআই ভি জি সোমানি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমরা নিরাপত্তা নিয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত না হয়ে কোনও ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেব না। সব ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই সামান্য জ্বর, মাথা যন্ত্রণা বা বমি বমি ভাবের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এর বাইরে বাকি সবটাই গুজব।’ এবার সরকার চাইলেই দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু করতে পারে। সেক্ষেত্রে আর কোনও নিয়মের জটিলতা রইল না। এবার কোভিশিল্ডের প্রস্তুতকারক সেরাম ইনস্টিটিউট এবং কোভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকারক ভারত বায়োটেকের সঙ্গে চুক্তি করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরই ভারতের ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারকে বিনামূল্যে দেয়া হবে করোনার টিকা। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।