Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুকির দলের ৩ প্রার্থীকে মুক্তি দিল মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

মিয়ানমারের সঙ্ঘাত-জর্জরিত রাখাইন রাজ্যের একটি সশস্ত্র গ্রুপ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে অপহৃত অং সান সু কির ক্ষমতাসীন দলের তিন সদস্যকে শুক্রবার মুক্তি দিয়েছে। আরাকান আর্মি (এএ) প্রায় দুই বছর ধরে মিয়ানমারের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। গ্রুপটি দেশটির জাতিগত রাখাইন জনগণের আরো স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে।

উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে রয়েছে। লড়াইয়ে শতশত মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে এবং প্রায় ২ লাখ বেসামরিক লোককে কঠোর লকডাউনে থাকা একটি জায়গায় তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে স্বাধীনভাবে এসব তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে অক্টোবরে জয়ে আশাবাদী সু চি’র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দেশব্যাপী প্রচার শুরু করে। বন্দুকধারীরা দক্ষিণ রাখাইনের টাউংগক জনপদে একটি প্রচার অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে তিন সংসদ সদস্যকে অপহরণ করেছিল।
এনএলডিকে ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে সঙ্ঘটিত যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগিতা এবং আড়াল করার’ অভিযোগ করে এএ বলেছিল, সরকার ও সেনাবাহিনীর হাতে ‘অবৈধভাবে আটককৃত’রা মুক্তি পেলেই বিধায়করা মুক্তি পেতে পারেন। বার্মিজ ভাষায় তাতমাদাও নামে পরিচিত আরাকান আর্মি এক বিবৃতিতে বলেছে, শুক্রবার, ‘আলোচনার পরে’ তিন সেনা সদস্যসহ তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিকেলে এএ তাদের ডিউটিরত তাতমাদাও দলের হাতে তুলে দিয়েছে এবং তাদের নিরাপদে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে (রাখাইন রাজ্যের রাজধানী) সিত্তে নিয়ে গেছে।
জঙ্গি গোষ্ঠী এ মুক্তি নিশ্চিত করেছে এবং যোগ করেছে যে, এনএলডির তিন সদস্যকে ‘যুদ্ধ, রাজনীতি ও বিপ্লবের উদ্দেশ্যে’ অপহরণ করা হয়েছিল। এএ তাদের সদস্যসহ অনেক রাখাইন রাজনীতিবিদ এবং বেসামরিক নাগরিককেও মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

‘আমরা যেমন (এনএলডি সদস্যদের) মুক্তি দিয়েছি, আমরা শান্তির বিনিময়ে গ্রেফতার হওয়া এএ সদস্যদের মুক্তির দাবি করছি’ -গ্রুপটি বলেছে। পশ্চিমা রাজ্য দীর্ঘদিন ধরে দ্ব›েদ্বর কেন্দ্রবিন্দু।
২০১৩ সালে এএ সামরিক বাহিনীর উপর হামলা চালানোর পর রাখাইন বেসামরিক নাগরিক এবং গ্রাম প্রধানদের জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়েছিল এবং বিশিষ্ট এএ ব্যক্তিত্বের পরিবারের সদস্যদেরও আটক করা হয়েছিল।

নভেম্বরের নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন বলেছিল যে, নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে রাখাইনের অনেক অংশসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভোট বাতিল করা হবে। এ পদক্ষেপটি একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চার করে যা দীর্ঘদিন ধরে দেশের জাতিগত বামর সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা প্রান্তিক বোধ করেছে এবং ভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। প্রত্যাশা মতো সু চির ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনে দুর্দান্তভাবে জয়লাভ করেছে।
তবে তাইংগক জনপদে, যেখানে অপহৃত তিন প্রার্থীকে দাঁড় করানোর কথা ছিল, সেখানে জাতিগত রাখাইনের কট্টর জাতীয়তাবাদী দল আরাকান ন্যাশনাল পার্টি জয়লাভ করে। সূত্র : ডন অনলাইন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ