নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একেই বলে ভাগ্য! মৌসুমসূচক টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপের নকআউট পর্বে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত সাডেন ডেথে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে জায়গা পেয়েছে সাইফ স্পের্টিং ক্লাব। আর হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে সাইফ সাডেন ডেথে ৭-৬ গোলে মোহামেডানকে হারিয়ে শেষ চারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো। ম্যাচের ১২০ মিনিটের (নির্ধারিত ৯০ ও অতিরিক্ত ৩০) খেলা ২-২ ব্যবধানে ড্র থাকায় ফলাফলের জন্য টাইব্রেকারের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানেও দু’দল ৪টি করে গোল করলে সাডেন ডেথে ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়। আর এতে ভাগ্য পুড়ে মোহামেডানের। সাডেন ডেথে সাদাকালোরা দুইবার সফল হলেও সাইফ হয় তিনবার (৩-২)।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শনিবার যেন জয়ের সংকল্প নিয়েই মাঠে নেমেছিল মোহামেডান। খেলায় তারই প্রমাণ মেলে। অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই অসাধারণ ফুটবল খেলতে থাকে তারুণ্যনির্ভর মোহামেডান। যার ফল তারা পেয়ে যায় ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই। ম্যাচ শুরুর পর প্রথম আক্রমণেই কর্ণায় পায় মতিঝিলের দলটি। আর এতেই বাজিমাত। কর্ণার থেকেই মাত্র ২ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। হাবিবুর রহমান সোহাগের কর্ণারে বরুকিনা ফাসোর ডিফেন্ডার মুনজির কুলাদিয়াতির মাথা ছুয়ে যাওয়া বলে হেডে গোল করে মোহামেডান শিবিরকে আনন্দে ভাসান মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান (১-০)। তবে এ আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তাদের। ম্যাচের সাত মিনিটে সমতায় ফেরে সাইফ। এসময় শাহেদুল আলম শাহেদের কর্ণারে দৌঁড়ে এসে ডান পায়ের শটে গোল করেন নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার এমানুয়েল আরিওচুকা (১-১)। চার মিনিট পর সাইফের হয়ে ব্যবধান বাড়ান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইকেচুকো এনগোকে। মোহামেডানের তিন ডিফেন্ডার মুনজির, আতিকুজ্জামান ও সোহাগের দুর্বলতায় সাইফের এক খেলোয়াড়ের উড়ন্ত দুর্বল শট এই ত্রয়ীর মাঝখান দিয়ে মোহামেডানের বক্সে পড়ে। দ্রæতগতিতে এগিয়ে সেই বল নিজের আয়ত্বে নিয়ে ডান পায়ের প্লেসিং শটে গোল করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইকেচুকো এনগোকে (২-১)। তবে ধারাবাহিক আক্রমণে প্রথমার্ধেই ম্যাচে ফিরে সাদাকালোরা। ৪৪ মিনিটে সজীবের ছোট পাসে বল পেয়ে মোহামেডানের মালির ফরোয়ার্ড সোলায়মান দিয়াবাতে ঢুকে পড়েন সাইফের রক্ষণে। সাইফের ক’জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তিনি বল দেন মিডফিল্ডার জাফর ইকবালকে। তার নেওয়া শট সাইফ গোলরক্ষকের পায়ে লেগে বাইরে চলে গেলে কর্ণার পায় মোহামেডান। আর কর্ণার থেকেই গোল পরিশোধ করে তারা। শাহেদ মিয়ার কর্নারে লাফিয়ে উঠে সুলেমান দিয়াবাতের হেড সাইফের জাল কাঁপায় (২-২)। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর কোন গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেও গোলের দেখা মেলেনি। অবশেষে সাডেন ডেথেই নিষ্পত্তি হয় ম্যাচের।
টাইব্রেকার ও সাডেন ডেথে মোহামেডানের সুলেমান দিয়াবাতে, অধিনায়ক উরি নাগাতা, হাবিবুর রহমান সোহাগ, মো. মিঠু, মানজির কলিদিয়াতি ও আমির হাকিম বাপ্পী গোল করতে পারলেও ব্যর্থ হয়েছেন আমিনুর রহমান সজিব ও মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান। মূলত বাইরে শট মেরে আতিকের নির্বুদ্ধিতার কারণেই হার এড়াতে পারেনি সাদাকালোরা। অন্যদিকে সাইফের হয়ে ইকেচুকু কেনেথ, শহিদুল আলম শাহেদ, জন ওকোলি, এমানুয়েল, রহিম উদ্দিন, রহমান মিয়া ও সিরোজুদ্দিন রখমাতুল্লেভ গোল করেন। ব্যর্থ হয়েছেন কেবল ইয়াসিন আরাফাত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।