মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার বেশ বড় ধরনের ধাক্কা খেলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি তিনি একটি প্রতিরক্ষা ব্যয় বিলে ভেটো দিয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই আপত্তি সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করেছে দেশটির কংগ্রেস। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে এই প্রথম এ ধরনের ঘটনা ঘটলো। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের সঙ্গে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল যখন তার দলের রিপাবলিকান সদস্যরাও তার মতামতকে অগ্রাহ্য করল। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর আগে আরও আটবার বেশ কয়েকটি বিলে ভেটো দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রত্যেকবারই তার সিদ্ধান্তই মেনে নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আপত্তি নিয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষের প্রথম দিন তার দল রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের সিনেটে অধিবেশন বসে। সিনেটে এ ধরনের অধিবেশন ব্যতিক্রম। এর আগে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে বিলটির ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। বিলে আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষানীতি বাবদ ৭৪ হাজার কোটি ডলারের তহবিল বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিদায় নিতে যাওয়া ট্রাম্প বিলের কয়েকটি ধারায় নিজের অসম্মতি প্রকাশ করেন। ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) নামের বিলটির ওপর বিতর্কের পর এ নিয়ে সিনেটে ভোটাভুটি হয়। এতে বিলের পক্ষে ভোট দেন ৮১ জন। বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ১৩টি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের কোনো আপত্তি বা ভেটো প্রত্যাখ্যান করতে হলে কংগ্রেসের উভয় কক্ষে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হওয়া প্রয়োজন। বিতর্ক শুরুর আগে সিনেটে রিপাবলিকান দলীয় নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, তিনি ওই বিল পাস করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্দিষ্ট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুরক্ষা নিয়ে প্রস্তাবের ওপর ভোট নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ও কংগ্রসের প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট সদস্য ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ‘ওই বিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আপত্তি জানানো খুবই বেপরোয়া মনোভাবের। যেটা আমাদের সেনাবাহিনীর ক্ষতি করবে, আমাদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিবে এবং এটা দ্বিপক্ষীয় কংগ্রেসের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করা সামিল। ‘‘আর এমন একটা সময়ে, যখন মাত্র আমাদের উপর সাইবার হামলা হয়েছে। এই সময়ে প্রেসিডেন্টের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের পেছনের কারণ বুঝে উঠতে পারা সত্যি খুব কঠিন।” বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।