Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফের উত্তেজনা, দিল্লি সীমান্তে পুলিশের সাথে বিক্ষোভরত কৃষকদের সংঘর্ষ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২১, ৫:৩৯ পিএম | আপডেট : ৬:২৬ পিএম, ১ জানুয়ারি, ২০২১

বছরের শেষ দিনে কৃষক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হল সীমানায়। রাজস্থান-হরিয়ানা সীমানার শাহজাহানপুরে আচমকা পুলিসি ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা করল বিক্ষোভরত কৃষকদের একটি অংশ। পুলিস আন্দোলনকারীদের ওই অংশকে আটকাতে গেলে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে গেল উভয়পক্ষের মধ্যে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করল পুলিস। প্রবল ঠান্ডা সত্ত্বেও আন্দোলনরত কৃষকদের উপর জলকামান ছুঁড়ল পুলিস। ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের শেল।

সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে চাষিদের মিছিল আটকাতে গেলে পুলিসের ব্যারিকেডের উপর দিয়েই ট্রাক্টর চালিয়ে দিয়েছিলেন কৃষকরা। বৃহস্পতিবারও কার্যত সেই পরিস্থিতিরই সৃষ্টি হয় রাজস্থান-হরিয়ানা সীমানায়। ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লির দিকে এগতে থাকেন কৃষকরা। বাকি আন্দোলনকারীরা পায়ে হেঁটে চলতে শুরু করেন। তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। দিল্লি সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করতে না দেওয়ায় দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজস্থান-হরিয়ানা সীমানার শাহজাহানপুরে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন চাষিরা। সিংঘু, তিক্রির মতো শাহজাহানপুরও কৃষক বিক্ষোভের নতুন কেন্দ্রস্থলে পরিণত হচ্ছে। এর জেরে সীমানায় যেমন বিশাল পুলিসবাহিনী, র‌্যাফ মোতায়েন আছে, তেমনই সিমেন্টের ব্যারিকেড, জলকামানও মজুত রাখা হয়েছে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কায়। এদিন আচমকাই দেখা যায় পাহাড়প্রমাণ সেই সিমেন্টের ব্যারিকেড গায়ের জোরে সরিয়ে দিয়ে হরিয়ানা হয়ে দিল্লি প্রবেশের চেষ্টা করছেন কৃষকরা। রাস্তা করে দিচ্ছেন আটকে থাকা ট্রাক্টর-ট্রলিগুলিকে। মুহূর্তে ছুটে আসেন উপস্থিত পুলিসকর্মীরা। একপ্রকার যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। সারা ভারত কিষান সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠি চালানোর কড়া নিন্দা করা হয়েছে।

এমনিতেই গত ৩৬ দিন ধরে তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমানা, দিল্লি-রোহতক করিডরের তিক্রি সীমানা, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর সীমানা, দিল্লি-নয়ডার চিল্লা সীমানায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়ে রয়েছে। পাল্লা দিয়ে বিক্ষোভ চলছে রাজস্থান-হরিয়ানা সীমানায়। এই ঘটনা আগামী সোমবার কেন্দ্র-কৃষক বৈঠকে কোনও প্রভাব ফেলবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। এই উত্তেজনার আবহেই এদিন দিল্লি সংলগ্ন বিভিন্ন সীমানা অবরোধ করে রাখা কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, ‘সীমানায় আসা গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করছে পুলিস-প্রশাসন। গাড়ির নম্বর খুঁজে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনকারীদের হেনস্তা করছে পুলিস।’ যাকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

কেন্দ্র-বিরোধী কৃষক আন্দোলন আরও তীব্র করতে আজ, শুক্রবার নতুন বছরের প্রথম দিনে শপথগ্রহণ করবেন চাষিরা। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়বেন, শুধু আশ্বাসে কাজ হবে না। কৃষি আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত একইভাবে আন্দোলন চালানো হবে। আজই ফের নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসবে কৃষক সংগঠনগুলো। কেন্দ্র-বিরোধী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে কাল, শনিবার। সূত্র: টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ