নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুমসূচক টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপের ‘ডি’ গ্রুপ সেরা হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে গেল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। অন্যদিকে এই গ্রæপ থেকে রানার্সআপ হয়ে শেষ আটে জায়গা পেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আর টানা দু’ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়লো মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রæপের শেষ ম্যাচে আবাহনী ২-১ গোলে মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে সেরা হয়। বিজয়ী দলের পক্ষে আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি ও হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট কারভেন্স একটি করে গোল করেন। মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে সান্তনার গোল শোধ দেন মিডফিল্ডার রোহিত সরকার।
গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্ব›িদ্ব মোহামেডানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দাপটের সঙ্গেই মৌসুম শুরু করে আবাহনী। দ্বিতীয় ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষেও জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকে আকাশী-হলুদরা। মালয়েশিয়ান কোচ রাজা ইসা ঢাকায় এসে মুক্তিযোদ্ধার হাল ধরলে বুধবারই প্রথম তার অধীনে খেলে দল। এতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। আগের ম্যাচে মোহামেডানের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হলেও রাজা ইসার অধীনে আবাহনীর বিপক্ষে ভালোই খেলেছে মুক্তিযোদ্ধা। গোলও কম হজম করেছে তারা। বলতে গেলে পুরো ম্যাচে আবাহনীর ঘাম ঝড়িয়েছেন ইউসেকো কাতোরা। ম্যাচ জিততে বেশ বেগ পেতে হয়েছে আবাহনীকে। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় মুক্তিযোদ্ধা। তারা একাধিক সুযোগ সৃষ্টি করলেও অভিজ্ঞতার অভাবে ম্যাচ নিজেদের করে নিতে পারেনি।
৯ মিনিটে কর্ণার থেকে বল পেয়ে বক্সে দাঁড়ানো মুক্তির ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ান বেকামেঙ্গা হেড নিলে আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল কর্ণারের বিনিময়ে তা রক্ষা করেন। নইলে গোলে পরিণত হতে পারতো। তবে আগে গোল করে ঠিকই এগিয়ে যায় আবাহনী। ম্যাচের ৩০ মিনিটে বল নিয়ে এগিয়ে যান আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফ্রান্সিসকো ডি সৌসা। কিন্তু তাকে আটকাতে গিয়ে বক্সের বাইরে বল হাতে নিয়ে নেন মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক মাকসুদুর রহমান। ফলে ফ্রিকিক পায় আবাহনী। সেট পিস থেকে বাঁ পায়ের শটে সরাসরি গোল করেন মাসিহ সাইঘানি (১-০)। সাত মিনিট পর অরক্ষিত গোলবার পেয়েও মিস করেন আবাহনী অধিনায়ক নাবীব নেওয়াজ জীবন। তবে ৭৩ মিনিটে ঠিকই গোল করান তিনি। এসময় জীবনের কর্ণার থেকে হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্টের হেডে বল জাল খুঁজে নেয় (২-০)। পশ্চিম গ্যালারিতে দর্শক অভিবাদন নিতে পকেট থেকে ক্ষণিকের জন্য মাস্ক বের করে মুখে পড়ে নেন এই হাইতিয়ান। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না মুক্তিযোদ্ধা। তবে ম্যাচের অন্তিম সময়ে একটি গোল শোধ দেয় তারা। ৮৬ মিনিটে মুক্তির মিডফিল্ডার রোহিত গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ১-২। তবে এরপর আর সুযোগ আসেনি। ফলে হারের গøানি নিয়েই মাঠ ছাড়ে মুক্তিযোদ্ধা। গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনী। ম্যাচ শেষে আাবহনী ডাগআউটে গিয়ে সবার সঙ্গে পরিচিত হন মুক্তিযোদ্ধার কোচ রাজা ইসা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।