মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সরকারের অচলাবস্থা এড়াতে অবশেষে করোনা সহায়তা বিলে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথম দিকে আপত্তি জানালেও চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত রবিবার বিলটিতে স্বাক্ষর করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে একদিকে বিলটি আইনে পরিণত হলো। অন্যদিকে সরকারি কার্যক্রমে সাময়িক অচলাবস্থা থেকে রেহাই পেলো যুক্তরাষ্ট্র। বিলে মোট ২ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা সহায়তা তহবিলের জন্য ৯০০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি অর্থ আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয়। অনুমোদন দিলেও ট্রাম্প বিলটিকে অমর্যাদাকর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। হাউস ও সিনেটে কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর বিলটি পাস হয়। তবে ওইসব আলোচনায় ট্রাম্প সামান্যই অংশ নিয়েছিলেন। বিলটি ওয়াশিংটন থেকে ফ্লোরিডার প্রেসিডেন্টের মারে-লাগো ক্লাবে পাঠানো হয়েছিল, এই সম্ভাবনায় যে যদি তিনি এতে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নেন। রবিবার রাতে ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেন, কোভিড রিলিফ বিলের জন্য সুসংবাদ। ট্রাম্প বিলটিতে স্বাক্ষর না করলে সোমবার মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পরই সরকারের কাজকর্ম আংশিক বন্ধ হয়ে যেতো। একইসঙ্গে বন্ধ হয়ে যেতো বর্ধিত বেকার ভাতা। বিলটিতে ট্রাম্পের স্বাক্ষরের একদিন আগেই শনিবার এ ইস্যুতে ট্রাম্পকে একহাত নেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিলটি নিয়ে প্রেসিডেন্টের আপত্তির সমালোচনা করে শনিবার এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। এটি ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তবে ট্রাম্পের দাবি, তিনি দম্পতিদের জন্য বরাদ্দকৃত ভাতার পরিমাণ ৬০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০০০ কিংবা ৪০০০ ডলার করতে চেয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে। এরইমধ্যে করোনার টিকাও আবিষ্কৃত হয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৯৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৪৭। মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৪১ হাজার ১৩৮ জনের। ভিওএ, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।