মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যে কোনো ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্যই মানুষের দেহে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। কিন্তু অনেকেই ভেবে থাকেন কিছু মাদকে তেমন একটা ক্ষতি হয়তো হয় না। যেমন অনেকেরই ধারণা বিয়ার তেমন একটা ক্ষতিকর নয়। আর এ থেকে হুট করেই কেউ নেশাগ্রস্তও হয় না। আবার অনেকে মনে করেন, খুব অল্প পরিমাণে মদ খেলেও কোনো সমস্যা নেই এবং এ অবস্থায় গাড়িও চালানো যায়। কিন্তু এমন ধারনা যারা করে থাকেন তাদের জন্য সতর্ক বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার আমেস রিসার্চ সেন্টারে সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, হাফ ক্যান বিয়ার খেলেও একজন মানুষের হাতের নিয়ন্ত্রণক্ষমতা হারিয়ে যায় এবং চোখের দৃষ্টি আবছা হয়ে আসে। এর পরিমাণ এতই সূক্ষ্ম যে তা চট করে উপলব্ধি করা যায় না। তাই অনেকেই বিয়ার বেশি পরিমাণে খেয়েও গাড়ি চালাতে যান, কিন্তু সেটা করা মোটেও উচিত নয়। কারণ এ থেকে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। গবেষণা বলছে, ব্লাড অ্যালকোহল কনসেনট্রেশনে এতদিন পর্যন্ত এই অনুপাতকে ধরা হত ০.০১৫ শতাংশ। অর্থাৎ অল্প পরিমাণে মাদক দ্রব্য খেলে হাত কতটা কাঁপতে পারে, চোখের দেখার ক্ষমতা কতটা বিঘ্নিত হতে পারে সেক্ষেত্রে ০.০১৫ শতাংশ ছিল নির্ধারিত অনুপাত। কিন্তু নাসার সমীক্ষা বলছে, এই অনুপাত আসলে ২০ শতাংশ। সে কারণে এসব ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঝুঁকি না নেওয়াই উচিত। কারণ যত অল্প পরিমাণেই খাওয়া হোক না কেন, অ্যালকোহল শরীরে গিয়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি করবেই। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাকেও এটি প্রভাবিত করে। ফলে মস্তিষ্কের সঙ্গে হাত এবং চোখের যোগাযোগ ব্যাহত হবে। এটা যেকোন সময় বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। নাসা বলছে, তাদের রিসার্চ সেন্টারে এই পরীক্ষা ৭৫ কেজি ওজন পর্যন্ত তরুণ প্রজন্মের এমন স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়েই করা হয়েছে যারা সপ্তাহে বড় জোর দু›বার মদ বা বিয়ার খেয়ে থাকেন। গবেষণা করার আগে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা হয়েছিল যে তারা তার আগের দিন থেকে এসব জিনিস তো দূরের কথা এমনকি কফিও যেন না খান। এরপর অল্প অ্যালকোহল মেশানো পানীয় খাওয়ানোর পর নানা শারীরিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে তাদের ড্রাইভিং স্কিল খতিয়ে দেখা হয়। আর সেখান থেকেই হাত এবং চোখের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। নাসা, সিয়াসাত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।