বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কমলা সাধারণত পাহাড়ি ও ঢালু জমিতে চাষ হলেও এবার রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সমতল ভূমিতে কমলার চাষ করে সফলতা পেয়েছেন দুই ভাই। তাদের কমলা বাগানে প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে এখন অন্তত দুইমন করে কমলা। প্রতিদিনই কমলার এমন ফলন দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা।
জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার রামদিয়া এলাকার মৃত্য ঘুরান শেখের ছেলে স্কুল শিক্ষক আব্দুস সালাম ও বড় ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রউফ পিতার স্বপ্ন পূরণে একটি প্রযুক্তি নির্ভর ও উন্নত ফলের বাগান করা শুরু করেন দুই বছর আগে। এরই ধারাবাহিকতায় এক একর জমির উপর গড়ে তুলেন একটি কমলার বাগান। বরিশাল থেকে একশ’ পচাশিটি কমলার চারা এনে রোপন করেন বাগানে। সঠিক পরিচর্যার জন্য নিযুক্ত করেন শ্রমিক। দুটি গাছ মারা গেলেও বাকি একশ’ তিরাশিটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কমলা।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি গাছই কমলার ভারে মাটিতে নুইয়ে পরছে। পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে যুবক ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা কমলার বাগান দেখতে প্রতিদিনই আসছেন। বাগানটির মালিক স্কুল শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, আমার পিতা সব সময় বলতেন তোমরা চাকরির পাশিাপাশি কৃষিতে এমন কিছু করো যেটা দেখে সারা দেশের মানুষ তোমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা দুই ভাই একটি নার্সারি তৈরি করেছি। যার নাম দেয়া হয়েছে স্বপ্ন চূড়া নার্সারি অ্যান্ড এগ্রো ট্যুারিজম। যেখানে ব্যানানা ম্যাংগো, কিউজুয়াই, থাই বারোমাশি, গৌরমতি, কিং অফ চাকাপাত, নারিকেল কেরালা, শীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, শরিফা বারোমাসি সাদা ও লাল জাতের, জাম্বুরা থাই সাদা ও লাল জাতের, বারোমাসি কাঠাল, বারোমাসি কদবেল, কাশ্মিরী বরই, বল সুন্দরী, সিডলেছ, বারোমাসি চায়না লেবু, থাই বারোমাসি লেবু, সিড লেছ কাটাবিহীন লেবু গাছ রয়েছে। এছাড়া উন্নত জাতের দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ফলজ ও ফুলের চারা রয়েছে। পাশাপাশি এক একর জমিতে করা হয়েছে কমলার চাষ। যে গাছগুলো এখন কমলায় পরিপূর্ণ।
স্বপ্ন চূড়া নার্সারি অ্যান্ড এগ্রো ট্যুারিজমের পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কমলার বাগানে মেরিন্ডা ও চায়না যাতের কমলা আছে। সময়মতো পরিচর্যা ও কিটনাশক প্রয়োগের কারণেই এমন সফলতা পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থেকে কমলা বাগান দেখতে এসেছেন যুবক জনি আরিয়ান। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে চাকরি যেন সোনার হরিণ। তাই পড়াশোনা শেষ করে বসে না থেকে যাতে একটি বাণিজ্যিক বাগান করা যায় সে কারণেই দেখতে আসা। এমন একটি বাগান করে স্বাবলম্বি হওয়া যায় সহজেই। তাছাড়া এই প্রথম স্বচক্ষে কমলার বাগান দেখতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রাজবাড়ীর উপ-পরিচালক গোপাল কৃঞ্চ দাস বলেন, বিভিন্ন প্রকার ফল চাষে চাষিদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বালিয়াকান্দি উপজেলার কমলার বাগানটিতে গেলে সকলেরই চোখ জুড়িয়ে যায়। এখন কমলার স্বাদ বাড়াতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। যাতে কমলা চাষ বাড়াতে চাষিরা আগ্রহী হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।