গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঈদুল আযহার আর মাত্র দুই দিন বাকী। তাই ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে উপভোগ করতে সবাই ছুটে চলছে নিজ নিজ বাড়িতে। সবার একসাথে ছুটি আর বাড়িতে যাওয়ায় রাস্তায় বেড়েছে গাড়ির চাপ। পাওয়া যাচ্ছে না টিকিট।
এর পরেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে যে যেভাবে পারছে ছুটে চলছে আপন গতিতে। যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে লঞ্চ ঘাট, বাস টার্মিনালসহ রেলওয়ে স্টেশনে। বাস টার্মিনাল আর লঞ্চ ঘাটের মতো উপচে পড়া ভিড় নেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে, তাই স্বাস্থ্যবিধি মানাতে অটল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে নেই মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সারিবদ্ধভাবে মুখে মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্টেশনে ঢুকছে যাত্রীরা। নেই মানুষের জটলা, নেই কোলাহল। ট্রেনের ভেতরেও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেই ট্রেন ছাড়ছে কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সান্তাহারের যাত্রী সফিয়ান বলেন, টিকিট পাওয়াটাই কঠিন। এছাড়া সব কিছুই ঠিক ভাবে চলছে। ট্রেনও সঠিক সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। আর স্বাস্থ্যবিধি মানাতে একদমই কঠোর অবস্থানে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। মাস্ক ছাড়া কাউকে এখানে আসতেই দিচ্ছে না।
কমলাপুর স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা দানেশ উদ্দিন বলেন, এই ঈদের সময় আমরা সব কিছুই খুব শৃঙ্খলভাবে মেইনটেইন করছি। নিয়ম অনুযায়ী টিকিট বিক্রি হচ্ছে আর করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া স্যানিটাইজার আর হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন মানুষের জটলা বা বিশৃঙ্খলা নেই। বিশৃঙ্খলারোধে সার্বক্ষণিক কাজ করছে রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।