মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের মালিকানাধীন পালাওয়ান দ্বীপ সফর করবেন। আগামী মঙ্গলবার দ্বীপটি সফরে যাবেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার জ্যেষ্ঠ এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। খবর রয়টার্সের ওই মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, কমলা হ্যারিস পালাওয়ানের স্থানীয় বাসিন্দা, সুশীল সমাজের নেতা এবং ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ সফরের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ফিলিপাইনের মিত্রদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হবে। সামুদ্রিক জীবিকা নির্বাহে সহযোগিতা এবং অবৈধ, অনিয়ন্ত্রিত ও গোপনে মাছ ধরা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারেও প্রতিশ্রæতি দেওয়া হবে। দক্ষিণ চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জ এলাকার কাছে পালাওয়ান দ্বীপের অবস্থান। স্প্রাটলিতে নৌবন্দর ও বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য চীন ইতিমধ্যে সমুদ্রের তলদেশকে প্রস্তুত করে তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রæনেই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামও এ দ্বীপপুঞ্জের কিছু অংশের মালিকানা দাবি করে থাকে। পালাওয়ান দ্বীপ এলাকার কিছু অংশ এবং দক্ষিণ চীন সাগরের বেশির ভাগ এলাকাকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে থাকে বেইজিং। ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক সালিসি রায়ে বলা হয়, চীনাদের দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এ রায় ছিল ম্যানিলার জন্য জয়। তবে রায়টি এখনো কার্যকর হয়নি। গতকাল সকালে ফিলিপাইন ঘোষণা করেছে, দেশটির তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও গুদামঘর নির্মাণের কাজ শুরু করতে ওয়াশিংটন ৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার ব্যয় করবে। ২০১৪ সালে করা এক যৌথ নিরাপত্তা চুক্তির আওতায় এগুলো নির্মাণ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনা নিরসনে স¤প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তিন ঘণ্টা মুখোমুখি বৈঠক করেছেন। আর এরপর কমলা হ্যারিসের এ সফর চীনকে হতাশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ চীন সাগরে বিপুল তেল ও গ্যাসের মজুত আছে। এখানে প্রতিবছর জাহাজে করে পাঁচ লাখ কোটি ডলার সমমূল্যের বাণিজ্য হয়ে থাকে। নৌ অভিযানের কারণে জায়গাটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুও। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষাবিষয়ক মিত্রতা রয়েছে। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের শাসনাধীন অবস্থায় চীনা বিনিয়োগ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ফিলিপাইন সরকার বেইজিংয়ের সমালোচনা করত না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।